পারল না ডর্টমুন্ড, বায়ার্নের টানা ১১তম শিরোপা
লিগের শেষ রাউন্ড, সব খেলা তাই শুরু হয়েছে একই সময়ে। তবে সবার নজর বেশি ছিল দুটি ম্যাচে—একটি বায়ার্ন মিউনিখ-কোলন, অন্যটি বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-মাইনৎস। এই দুই ম্যাচের মধ্যেই ছিল এবারের বুন্দেসলিগার শিরোপা-লড়াই।
হিসাবটা সহজ ছিল ডর্টমুন্ডের জন্য—মাইনৎসকে হারাতে পারলেই বায়ার্নের ১০ বছরের আধিপত্য ঘুচিয়ে বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতত তারা। বায়ার্ন হারলে, হেরে গেলেও শিরোপা জিতত ডর্টমুন্ড। বায়ার্ন ড্র করলে তাদেরও শুধু ড্র করলেই চলত।
শেষ পর্যন্ত সহজ এই হিসাবটা মেলাতে পারেনি ডর্টমুন্ড। নিজেদের মাঠে মাইসৎসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা। অন্যদিকে কোলনের মাঠে ২-১ জিতে ড্র করে টানা ১১ মৌসুমের জন্য বুন্দেসলিগার শিরোপা ঘরে তুলেছে বায়ার্ন।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের ৮ মিনিটেই কিংসলি কোমানের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এ পরিস্থিতিতে ডর্টমুন্ডের প্রয়োজন ছিল অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জ্বলে ওঠা। কিন্তু নিজেদের মাঠে ১৫ মিনিটি ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা।
১৯ মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন সেবাস্টিয়ান হলার। ম্যাচে ফিরতে না পারার হতাশাতেই কি না, পরের ১০ মিনিট এলোমেলো ফুটবল খেলে ডর্টমুন্ড। এই সুযোগে ২৪ মিনিটে গোল করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মাইনৎস।
৬৯ মিনিটে ডর্টমুন্ডের গ্যালারিতে কিছুটা হলেও প্রাণের সঞ্চার হয় রেইনার গোলে ব্যবধান কমলে। বায়ার্ন-কোলন ম্যাচের ৮১ মিনিটে ডর্টমুন্ডের গ্যালারিতে আরেক দফায় আনন্দ হিল্লোল জাগে। বায়ার্নের বিপক্ষে যে তখন সমতা ফিরিয়েছিল কোলন।
খবরটা পেয়ে ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়েরা নতুন উদ্যমে জেগে ওঠে। তখন যে হিসাবটা দাঁড়ায় এ রকম—বায়ার্ন আর গোল করতে না পারলে ডর্টমুন্ড একটি গোল করে ড্র পেলেই জিতবে শিরোপা। কিন্তু মাইসৎস ততক্ষণে রক্ষণে ‘বাস থামিয়ে রেখে’ খেলতে শুরু করে দেয়। ফলে কিছুতেই গোল পাচ্ছিল না ডর্টমুন্ড। এর মধ্যেই আবার কোলনের বিপক্ষে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বায়ার্নের দ্বিতীয় গোলটা করেন জামাল মুসিয়ালা।
কোলনের স্টেডিয়ামে বায়ার্নের সমর্থকেরা তখন উৎসবে মেতে ওঠে। কারণ শেষ ১০ মিনিটে শিরোপা জিততে হলে ডর্টুমন্ডকে করতে হতো ২ গোল। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ের অন্তিম মুহূর্তে ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরান নিকলাস সুলে।
২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ায় ডর্টমুন্ডের আক্ষেপ আরও বেড়েছে। ৩৪ ম্যাচ শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান ৭১। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন।