২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

দলবদলে ‘মাতাল নাবিকদের মতো টাকা ঢেলেছে’ চেলসি

কাতার বিশ্বকাপে উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা এনজো ফার্নান্দেজ এখন চেলসিররয়টার্স

জানুয়ারির মধ্যবর্তী দলবদলের শেষ দিনে ব্রিটিশ ফুটবলে দলবদলের সর্বোচ্চ খরচের রেকর্ড নতুন করে লিখেছে চেলসি। ১২ কোটি ১০ লাখ ইউরোয় বেনফিকা থেকে এনজো ফার্নান্দেজকে কিনে এই রেকর্ড গড়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। বিবিসি জানিয়েছে, জানুয়ারির এই দলবদলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো খরচের নতুন রেকর্ডও গড়েছে। মোট ৮১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড খরচ করেছে ক্লাবগুলো।

ইংল্যান্ডে কাল মৌসুমের মধ্যবর্তী এই দলবদলের সময়সীমা শেষ হয়েছে স্থানীয় সময় রাত ১১টায়। তার আগে কাল শুধু শেষ দিনেই ২৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের বেশি খরচ করেছে ক্লাবগুলো। বিবিসি জানিয়েছে, শেষ দিনেও খরচের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো।

আরও পড়ুন

এর আগে ২০১৮ সালে জানুয়ারির দলবদলের শেষ দিনে ক্লাবগুলোর সর্বোচ্চ মোট খরচ ছিল ১৫ কোটি পাউন্ড। সেবারের তুলনায় এবার শেষ দিনে ৮৩ শতাংশ অর্থ বেশি খরচ করেছে ক্লাবগুলো। আর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে খরচে নেতৃত্ব দিয়েছে চেলসি।

যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের টড বোহলি গত বছর মে মাসে ৪.২৫ বিলিয়ন পাউন্ডে চেলসি কিনে নেন। এর পর থেকেই দলবদলের বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে স্টামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটি। বোহলির অধীন চেলসিতে নতুন যুগ ভালোভাবে শুরুর আগেই বাজারে নামানো হয়েছে টাকার বস্তা। খেলোয়াড় কেনায় এরই মধ্যে মোট ৫৫ কোটি পাউন্ড খরচ করেছে চেলসি।

বিবিসি জানিয়েছে, শুধু জানুয়ারির দলবদলেই ৮ জন নতুন খেলোয়াড় কিনতে ৩০ কোটি পাউন্ডের বেশি খরচ করেছে চেলসি। জানুয়ারির দলবদলে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর মোট খরচ করা অর্থের ৩৭ শতাংশই চেলসির।

বিবিসির আরেকটি তথ্যে বোঝা যায়, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে টাকাপয়সা খরচে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর কতটা দাপট। জানুয়ারির দলবদলে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ক্লাবগুলোর খরচ করা মোট অর্থের ৭৯ শতাংশ এসেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে।

আরও পড়ুন

তবে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এবার জানুয়ারির দলবদলে ৩৫ শতাংশ খরচ কমেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই মধ্যবর্তী দলবদলে বুন্দেসলিগা, লা লিগা, সিরি ‘আ’ ও লিগ আঁ-র ক্লাবগুলোর সম্মিলিত খরচকে চেলসি একাই ছাপিয়ে গেছে।

ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেসের সাবেক চেয়ারম্যান ও খেলাধুলার সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট টকস্পোর্টের ফুটবল–পণ্ডিত সাইমন জর্ডান চেলসির এই খরচকে তুলনা করেছেন ‘মাতাল নাবিকদের খরচ করা’র সঙ্গে। টকস্পোর্টকে জর্ডান বলেছেন, ‘শীর্ষ ছয় ক্লাবের মধ্যে চেলসি নেই।

কিন্তু তারা মনে মনে নিজেদের সেখানে দেখে এবং খরচও করেছে সেভাবেই। মাতাল নাবিকদের মতো খরচ করেছে তারা। দুটি দলবদলের মৌসুম (গ্রীষ্মকালীন ও মধ্যবর্তী) মিলিয়ে এই দেশে (ইংল্যান্ড) যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশই চেলসির।’

আরও পড়ুন

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে এখন দশম স্থানে রয়েছে চেলসি। পয়েন্ট টেবিলে ষষ্ঠ দল ব্রাইটনের (৩১) চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে গ্রাহাম পটারের দল। স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, জানুয়ারির এই দলবদলে ৩২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড খরচ করেছে চেলসি।

আর গত মৌসুম শেষে গ্রীষ্মকালীন দলবদলে খরচ করেছে ২৭ কোটি পাউন্ড। গ্রীষ্মকালীন দলবদলের ইতিহাসে এটি ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরচের রেকর্ড। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২৯ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড খরচ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। দলবদলের বাজারে প্রচুর অর্থ খরচ করে চেলসি এখন লিগ টেবিলের শীর্ষ চারে উঠে আসতে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।