শেষ ষোলোর আগে রুডিগারকে নিয়ে দুশ্চিন্তা জার্মানির

জার্মান ডিফেন্ডার রুডিগারইনস্টাগ্রাম

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে কোনোমতে হার এড়িয়েছে জার্মানি। তবে ইউরো ২০২৪-এর শেষ ষোলোর নকআউট ম্যাচের আগে দুশ্চিন্তা ভর করেছে জুলিয়ান নাগলসমানের মনে। দলের অন্যতম রক্ষণ-ভরসা অ্যান্তোনিও রুডিগার চোটে পড়েছেন। ঊরুর চোটের কারণে শেষ ষোলোর ম্যাচে তিনি খেলবেন কি না, সেটি এখন ঝুলছে সংশয়-শঙ্কার সুতোয়।

শনিবার ডর্টমুন্ডে শেষ ষোলোর ম্যাচে জার্মানির প্রতিপক্ষ কে হবে, সেটি এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে তিনবারের ইউরো–জয়ী জার্মানরা ম্যাচটি খেলবে গ্রুপ ‘সি’র রানার্সআপ দলের সঙ্গে। ওই গ্রুপে ইংল্যান্ড ৪ পয়েন্ট নিয়ে এ মুহূর্তে আছে শীর্ষে। ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে আছে ডেনমার্ক ও স্লোভেনিয়া। ১ পয়েন্ট পেয়েছে সার্বিয়া। ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া যেকোনো একটিই হতে পারে জার্মানির প্রতিপক্ষ। এ গ্রুপের শেষ ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে বুধবার।

আরও পড়ুন

তবে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, হার্জোজেনোরোচে জার্মানির অনুশীলন ক্যাম্প এ মুহূর্তে কিছুটা থমথমে। রুডিগার যদি খেলতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে বড় বিপদেই পড়ে যাবে দল। দুই হলুদ কার্ডের জন্য এরই মধ্যে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়েছেন রুডিগারের রক্ষণ-সঙ্গী জোনাথন তা। জার্মানি কাল ফ্রাঙ্কফুর্টে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে নিকলাস ফুলক্রুগের গোলে হার বাঁচিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে শেষ ষোলোতে উঠেছে জার্মানি।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে রুডিগার অবশ্য খেলেছেন। পুরো সময়ই খেলেছেন। তবে আজ সোমবার তাঁর চোটের জায়গায় স্ক্যানের পর রিপোর্ট ভালো আসেনি। সুইসদের বিপক্ষেও রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার চোটের কারণে খুব একটা স্বস্তি নিয়ে খেলতে পারেননি।

রুডিগারের গোল উদ্‌যাপন
ইনস্টাগ্রাম

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নাগলসমান একই একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। যদিও এ ম্যাচে হলুদ কার্ড পেয়ে যান তা। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর বদলে নাগলসমান মাঠে নামান নিকো স্ক্লটারবেককে। জার্মান কোচের হাতে আরও যে দুই ডিফেন্ডার আছেন, তাঁরা হলেন ওয়াল্ডারমান অ্যান্টন ও রবিন কচ।

আরও পড়ুন

প্রথমজন স্টুটগার্ট ও দ্বিতীয়জন আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে এবারের বুন্দেসলিগায় বেশ ভালো খেলেছেন। যদিও এ দুজন মিলে জার্মানির জার্সিতে খেলেছেন মাত্র ১১টি ম্যাচ। রুডিগার না খেলতে পারলে নাগলসমানকে শেষ ষোলোর ম্যাচে অনভিজ্ঞ একটা রক্ষণভাগকেই মাঠে নামাতে হবে। যেটি ঝুঁকিপূর্ণ হবে, এটা না বললেও চলছে।