সিটির সাতে ছয় ও চারে চার সৌভাগ্যবানেরা
অপ্রতিরোধ্য ও অবিশ্বাস্য! পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির দাপটকে বোঝানোর জন্য এর চেয়ে ভালো শব্দ আর হয় না। কোনো শক্তিই যেন এই দলটিকে আটকানোর যথেষ্ট নয়। টানা চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে পেপ গার্দিওলার দলটি। তবে সময়ের পরিসরকে আরেকটু বড় করলে ৭ মৌসুমে ৬টি লিগ শিরোপা জিতেছেন এ স্প্যানিশ কোচ। একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরপুর লিগটি সিটির দাপটে রীতিমতো একপেশে হয়ে পড়েছে।
তবে কোচের পাশাপাশি সিটির এ অর্জনে খেলোয়াড়দের অবদানও কম নয়। এমন ছয়জন খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের নাম জড়িয়ে টানা ছয়টি লিগ শিরোপার সঙ্গে। সেই ছয়জন খেলোয়াড় হলেন কেভিন ডি ব্রুইনা, এদেরসন, জন স্টোনস, ফিল ফোডেন, বের্নার্দো সিলভা এবং কাইল ওয়াকার। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে আরও চারজন এমন খেলোয়াড় আছেন, যাঁরা টানা চারটি লিগ শিরোপা জেতায় দলের সঙ্গী হয়েছেন। সেই চারজন হলেন রুবেন দিয়াজ, নাথান একে, রদ্রি এবং স্কট কারসন।
কেভিন ডি ব্রুইনা
দুর্দান্ত কেভিন ডি ব্রুইনাকে ছাড়া ম্যানচেস্টার সিটির কখনোই প্রিমিয়ার লিগে এতটা আধিপত্য দেখানো সম্ভব হতো না। মিডফিল্ডে তাঁর ওপর নিরঙ্কুশ আস্থা রেখেছেন গার্দিওলাও। সিটির হয়ে ছয়টি লিগ শিরোপা জয়ের পথে ৪২ গোল করেছেন এ বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। সঙ্গে আছে মহামূল্যবান ৬৬টি অ্যাসিস্টও।
এদেরসন
চোটের কারণে গতকাল শিরোপা জেতা ম্যাচে সিটির পোস্টের নিচে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়নি এদেরসনের। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান এ গোলরক্ষকের নির্ভরযোগ্য হাত ছাড়া কখনোই সিটির এমন তাক লাগানো সাফল্য সম্ভব ছিল না। ৬ লিগ শিরোপা জয়ের পথে দুইবার গোল্ডেন গ্লাভ জিতেছেন এদেরসন। এ ছাড়া ২০২০–২১ এবং ২০২১–২২ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ক্লিনশিটও রাখেন তিনি।
ফিল ফোডেন
বয়স মাত্র ২২। কিন্তু এরই মধ্যে অসাধারণ সব অর্জনে নিজের নাম জড়িয়েছেন ফিল ফোডেন। এখন পর্যন্ত নিজের পুরো ক্যারিয়ার সিটিতে কাটানো ফোডেন বয়সভিত্তিক দলের হয়ে যাত্রা শুরু করেন ২০০৯ সালে। পেশাদার ফুটবলে তাঁর অভিষেক হয় ২০১৭–১৮ মৌসুমে। শুরুতে একাদশে জায়গা পেতে সংগ্রাম করতে হলেও এখন সিটির অন্যতম তারকা এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে লিগের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন ফোডেন। আর সামগ্রিকভাবে ছয় শিরোপা জয়ের পথে ফোডেন গোল করেছেন ৪৯টি। এ মৌসুমে অবশ্য করেছে যার ১৯টি। ফোডেনের ক্যারিয়ার অবশ্য মাত্র শুরু হলো, কোথায় গিয়ে থামেন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
বের্নার্দো সিলভা
২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসেন বের্নার্দো সিলভা। এর পর থেকে ট্রফি জিতে চলেছেন এ মিডফিল্ডার। সাত মৌসুমে সিটির ছয়টি লিগ শিরোপা জেতায় দারুণ অবদান রেখেছেন সিলভা। এ যাত্রায় তিনি ৩৩টি গোলও করেছেন। এ মৌসুমে ৩২ ম্যাচ খেলে সিলভা গোল করেছেন ৬টি।
জন স্টোনস
২০১৬ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় দামি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে সিটিতে আসেন জন স্টোনস। এরপর সিটির সাফল্যযাত্রায় দারুণ অবদান রাখেন এই ইংলিশ ফুটবলার। গার্দিওলার হাত ধরে স্টোনস নিজেও যেন নিজেকে পুনরায় আবিষ্কার করেছেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে দারুণ অবদান রাখার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু গোলও করেছেন স্টোনস।
কাইল ওয়াকার
বের্নার্দো সিলভার মতো কাইল ওয়াকারও ম্যানচেস্টার সিটিতে আসেন ২০১৭ সালে। এরপর থেকে দলের হয়ে অবদান রেখে চলেছেন এ ডিফেন্ডার। এর মধ্যে সিটির হয়ে ১৬৭টি লিগ ম্যাচ খেলেছেন ওয়াকার। ডিফেন্সে দলকে দারুণ দৃঢ়তাও দিয়েছেন এই ইংলিশ রাইট ব্যাক।