ইংল্যান্ডকে টানা দুইটি ইউরোর ফাইনালে তোলা কোচ সাউথগেটের পদত্যাগ

সাউথগেটের ৮ বছরে ভালোই করেছে ইংল্যান্ডএএফপি

ইউরোর ফাইনালে হারের দুই দিন পর ইংল্যান্ডের কোচ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন গ্যারেথ সাউথগেট। এই পদে ৮ বছর মেয়াদে তাঁর অধীনে ১০২ ম্যাচ (৬১ জয়, ২৪ ড্র ও ১৭ হার) খেলেছে ইংল্যান্ড। চারটি বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড খেলেছে তাঁর অধীনে।

২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পাশাপাশি ইংল্যান্ডকে টানা দুবার ইউরোর ফাইনালেও তুলেছেন সাউথগেট। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে স্যার আলফ রামসির পর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডকে বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালেও তুলেছিলেন সাউথগেট। কিন্তু রোববার বার্লিনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে ২-১ গোলের হারে ৫৮ বছরের শিরোপাখরা কাটাতে পারেনি ইংল্যান্ড।

কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিবৃতিতে সাউথগেট বলেছেন, ‘এখন নতুন একটি অধ্যায়ের জন্য পরিবর্তনের সময়। বার্লিনে স্পেনের বিপক্ষে রোববারের ফাইনালটি ছিল ইংল্যান্ড কোচ হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ।’ ৫৩ বছর বয়সী এই কোচ বিবৃতিতে আরও বলেছেন, ‘একজন গর্বিত ইংরেজ হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা এবং ইংল্যান্ডের কোচ হওয়া আমার জন্য সারা জীবনের সম্মান। এটা ছিল আমার কাছে সবকিছু। আমিও সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি।’

গত রোববার ইউরোর ফাইনালে হারের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে করমর্দন করছেন সাউথগেট
এএফপি

চলতি বছরের শেষ দিকে ইংল্যান্ডের সঙ্গে সাউথগেটের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হতো। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫৭ ম্যাচ খেলা সাবেক এই ডিফেন্ডার ২০১৬ সালে যখন ‘থ্রি লায়নস’দের কোচের দায়িত্ব নেন তখন জাতীয় দল খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিল না। সাউথগেট কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইংল্যান্ড তাদের ফুটবল ইতিহাসে তিনটি বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলেছে এবং ’৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু সাউথগেট কোচ হয়ে আসার পর এই ৮ বছরে ইংল্যান্ড দুটি বিশ্বকাপে অন্তত শেষ আটে উঠেছে এবং দুবার ইউরোর শিরোপা লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে।

তবে এবার ইউরোর শুরু থেকেই চাপে ছিলেন সাউথগেট। আক্রমণভাগ থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারছেন না, এমন সমালোচনা ছিল। গ্রুপ পর্বে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর তাঁর প্রতি প্লাস্টিকের কাপ ছুড়ে মেরেছিলেন সমর্থকেরা।

ইংল্যান্ড ফাইনালে ওঠার পর সমালোচনা কমেছে। ইংল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে সাউথগেট বলেছেন, ‘আমাদের সমর্থক বিশ্বের সেরা। তাদের সমর্থন আমার কাছে সবকিছু। আমি সব সময় ইংল্যান্ডের সমর্থকই থাকব। আশা করছি, খেলোয়াড়েরা আরও দারুণ সব স্মৃতির জন্ম দিয়ে জাতিকে উদ্দীপ্ত করবে যেটা তারা পারে। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ ইংল্যান্ড।’