দলবদলের শুরু থেকেই হ্যারি কেইনকে কিনতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। নিজেদের ক্লাবের সমার্থক হয়ে যাওয়া কেইনকে ছাড়তে রাজি ছিল না টটেনহাম হটস্পার্স। দুই পক্ষের অনড় মনোভাবের কারণে শুরু হয় দলবদল নিয়ে নতুন এক নাটক। কেইনের জন্য বায়ার্নের দেওয়া পরপর তিনটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় টটেনহাম।
এরপরও হাল ছাড়েনি বায়ার্ন। শেষ পর্যন্ত ১১ কোটি ইউরোতে তাঁকে কিনেই নেয় তারা। কেইনই এখন বুন্দেসলিগার সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। তবে এই দামে বায়ার্নের কেইনকে কেনা নিয়ে খুশি হতে পারছেন না কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউস। বলেছেন, কেইনকে এত বেশি টাকায় কিনে ‘ব্ল্যাকমেইলে’র শিকার হয়েছে বায়ার্ন।
বায়ার্নে যোগ দিয়েই ১২ ঘণ্টার মধ্যে মাঠে নামেন কেইন। সুযোগ ছিল জার্মান সুপার কাপের শিরোপা জেতারও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি কেইনের। সেদিন আরবি লাইপজিগের কাছে ৩–০ গোলে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয় বায়ার্ন। তবে বুন্দেসলিগা অভিষেকেই নিজেকে মেলে ধরেন ইংলিশ অধিনায়ক।
নিজে গোল করে এবং সতীর্থকে দিয়ে গোল করিয়ে ওয়ের্ডের ব্রেমেনের বিপক্ষে বড় জয় পেতে সহায়তা করেছেন দলকে। তবে এতটুকুতেই মন ভরছে না ম্যাথাউসের। কেইনকে কেনার মধ্যে বায়ার্নের কিঞ্চিৎ অর্থনৈতিক ক্ষতি দেখছেন এই কিংবদন্তি।
জার্মানির ১৯৯০ বিশ্বকাপের নায়ক ম্যাথাউস বলেছেন, ‘বায়ার্নের কর্তারা কেইনের ব্যাপারে শতভাগ খুশি ছিল এবং আছে। সে জন্য তারা মরিয়া ছিল এবং নিজেদের সীমাকেও প্রসারিত করেছে। উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখে বলতে চাই বায়ার্ন টটেনহাম দ্বারা কিঞ্চিৎ ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছে।’
১৯ বছর ধরে টটেনহামের সঙ্গে ছিলেন কেইন। ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলসহ একাধিক ব্যক্তিগত মাইলফলক অর্জন করেছেন। তাঁর স্কোরিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে সামান্য। অন্য দিকে বায়ার্ন রবার্ট লেভানডফস্কিকে বার্সেলোনার কাছে হাতছাড়া করার পর থেকেই গোলমুখে ভুগছিল।
এই ঘাটতি মেটাতেই মূলত কেইনকে এত বেশি টাকা দিয়ে কিনে আনা। এরপরও ৩০ পেরোনো একজন ফুটবলারের জন্য ১০ কোটি ইউরোর বেশি খরচ করা বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে ম্যাথাউসের। বায়ার্নের এই সাবেক ফুটবলার বলেছেন, ‘তারা এই খেলোয়াড়কে চেয়েছে। তবে আমি বলতে চাই, ৩০ পেরোনো একজন ফুটবলারের জন্য ১০০ মিলিয়ন (একটু বেশিই)।’