২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘চুমু-কাণ্ডে’ রুবিয়ালেসের ওপর খেপেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রীও

স্প্যানিশ মিডফিল্ডার হেনি হেরমোসোর ঠোঁটে চুমু দেন রুবিয়ালেস। নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষেছবি: টুইটার

ভালো বিপদেই পড়েছেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের বিজয় মঞ্চে স্পেন তারকা হেনি হেরমোসোকে চুমু দিয়ে পরে ক্ষমা চাইলেও চরম বিতর্কে পড়েছেন রুবিয়ালেস।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। গত মঙ্গলবার সানচেজ বলেছেন, হেরমোসোকে চুমু দিয়ে রুবিয়ালেসের ক্ষমা চাওয়াটা ‘যথেষ্ট নয়’। স্পেনের দ্বিতীয় ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ইয়োলান্দা দিয়াজ এর আগে রুবিয়ালেসকে ‘পদত্যাগ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

সিডনিতে পরশু নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ম্যাচ শেষে বিজয় মঞ্চে হেরমোসোর মাথা ধরে তাঁর ঠোঁটে চুমু দিয়েছিলেন রুবিয়ালেস। এরপরই চরম বিতর্কের মুখে পড়েন। প্রথমে অবশ্য সেসব সমালোচনা খুব একটা পাত্তা দেননি রুবিয়ালেস, উল্টো সমালোচকদের মূর্খও বলে দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সম্ভবত বোধোদয় ঘটে তাঁর। দায়িত্বশীল পদে থেকে এ রকম আচরণ করা ঠিক হয়নি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, ‘আমাকে স্বীকার করতেই হবে, আমি সম্পূর্ণ ভুল ছিলাম। আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে, এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাকে বুঝতে হবে, যখন সভাপতির মতো দায়িত্বে থাকবেন, আপনাকে আরও সতর্ক হতে হবে।’

কিন্তু রুবিয়ালেসের এই শুকনো কথায় চিড়ে ভিজছে না। সংবাদকর্মীদের স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, ‘এটার (চুমু) মাধ্যমে বোঝা যায়, আমাদের দেশে নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্মান এবং সমতা আনতে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা যেটা দেখেছি, সেটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য আচরণ। আমার মতে, জনাব রুবিয়ালেসের ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট নয়। তার আরও কিছু করা উচিত...আরএফইএফ তো স্প্যানিশ সরকারের অংশ নয়। সেখানে সভাপতি বেছে নেওয়া কিংবা বাদ দেওয়ার দায়িত্ব ফেডারেশনের সদস্যদের। রুবিয়ালেসকে অবশ্যই আরও নিজের আচরণ ব্যাখ্যা করতে হবে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ছিল। তার আরও স্পষ্ট ভাষায় ক্ষমা চাওয়া উচিত, যেটায় সবাই সন্তুষ্ট হবে।’

আরও পড়ুন

স্পেনের দ্বিতীয় ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ইয়োলান্দা দিয়াজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুবিয়ালেসের পদত্যাগ দাবি করে লিখেছেন, ‘একজন নারী অপমানিত ও নিগৃহীত হয়েছে। তার ক্ষমা চাওয়ার কোনো মূল্য নেই। আমরা যেটা চাই খেলাধুলার আইন ও ফেডারেশনের প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হোক। এই লোকের পদত্যাগ করা উচিত।’ গতকাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) পক্ষ থেকে জানানো হয়, চুমু-কাণ্ড নিয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের বিজয় মঞ্চে রুবিয়ালেস স্পেনের অন্য খেলোয়াড়দের গালেও চুমু দিয়েছেন। স্পেনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমন্ত্রী মিকুয়েল ইকেতা এমন আচরণ ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলার পর ক্ষমা চান রুবিয়ালেস। স্পেনে পেশাদার নারী ক্রীড়াবিদদের সংগঠনও (এমডিপি) রুবিয়ালেসের সমালোচনা করেছে।

বিজয় মঞ্চে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উদ্‌যাপনের পর স্পেন দল লকার রুমে গেলে ইনস্টাগ্রামে লাইভ করেন কেউ কেউ। সেখানে মঞ্চের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে হেরমোসো বলেছিলেন, ‘আমার এটা ভালো লাগেনি।’ টুইটারে স্প্যানিশ সাংবাদিক ইরাতি ভিদার শেয়ার করা একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে দেখা যায়, হেরমোসোকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি তখন কী করছিলেন?’ জবাবে ৩৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমার কী করার ছিল?’

আরও পড়ুন