‘আমি মেসির জায়গায় থাকলে লাওতারোকে আর পাস দিতাম না’
ম্যাচের তখন ৭১ মিনিট। আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে। দলের দ্বিতীয় গোলটি করা হুলিয়ান আলভারেজকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তাঁর জায়গায় মাঠে নামানো হয় লাওতারো মার্তিনেজকে। আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা এতে খুশিই হয়েছিল। ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার দলকে আরও গোল এনে দেবে বলেই ভেবেছিল তারা।
কিন্তু আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হতাশ করে একের পর এক সহজ সুযোগ মিস করলেন মার্তিনেজ। ম্যাচ চলাকালেই তাঁর গোল মিসের এই মহড়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেউ কেউ তো তাঁকে গঞ্জালো হিগুয়েইনের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন! ক্লাব ফুটবলে সব সময়ই গোল পেয়ে যাওয়া হিগুয়েইন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে পরলেই যেন গোল করা যেতেন ভুলে!
মার্তিনেজ প্রথম গোল মিস করেন ৮৮ মিনিটে। বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে তিনি না মেরেছেন গোলে, না করতে পেরেছেন ক্রস। এরপর যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে লিওনেল মেসির অসাধারণ এক পাস থেকে গোলকিপারকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি। ২ মিনিট পর আবারও মেসি বল দেন তাঁকে। এবার তাঁর সামনে ছিল শুধুই গোলকিপার। কিন্তু আবার ব্যর্থ মার্তিনেজ।
অ্যারন ওয়েস্ট নামের একটি ভেরিফায়েড টুইটার আইডি থেকে মার্তিনেজের এসব মিস নিয়ে একটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মেসি হলে আর কখনোই লাওতারোকে পাস দিতাম না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘লাওতারোর থালায় একটি সুযোগ তুলে দিয়েছেন মেসি। কিন্তু লাওতারো সেটা মিস করলেন।’
এখানে থেমে থাকলেও হতো। একজন টুইট করেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার অসাধারণ দলকে একাই ছিটকে দিয়েছেন মেসি। এমনকি লাওতারো তাঁর বিপক্ষে খেলার পরও।’ কেউ কেউ তো মার্তিনেজ আর হিগুয়েইনের পাশাপাশি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা মার্তিনেজকে এভাবে দেখছি।’