যে কারণে ছাদখোলা বাসে সাবিনাদের বিজয়যাত্রা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে
বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে যাওয়ার পথে বিভিন্ন পদচারী সেতুতে অপেক্ষা করছিল মানুষ। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষা করছিল রাস্তার দুই পাশে। উদ্দেশ্য, সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দেশে ফিরে ছাদখোলা বাসে সাবিনাদের যে বিজয়যাত্রা বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে যাচ্ছে, সেই বিজয়যাত্রায় বাংলাদেশের মেয়েদের অভিনন্দন জানানো। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা পারল কই!
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে হঠাৎ করেই যে সাবিনাদের বহন করা ছাদখোলা বাস উঠে গেছে এক্সপেসওয়েতে। বাসটি এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পর অনেকেই প্রশ্ন করেন, বিজয়যাত্রায় সাধারণ মানুষ ও ফুটবলপ্রেমীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ কেন দেওয়া হলো না! কেন সাবিনাদের বাস এক্সপ্রেসওয়েতে উঠল। কেন সাধারণ মানুষকে দেওয়া হলো না রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে সাবিনাদের অভিনন্দন জানানোর সুযোগ।
কারণ খুঁজে গিয়ে জানা গেল, সিদ্ধান্তটা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)। সাবিনাদের বিজয়যাত্রার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে যেন সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে, এ কারণে বিজয়যাত্রার পথ ঠিক করে দিয়েছে ডিএমপি। বাফুফের একটি সূত্রই এটা জানায়। সেই পথ বা রুট ছিল এ রকম—বিমানবন্দর> এক্সপ্রেসওয়ে> এফডিসি>সাত রাস্তার মোড়> মগবাজার ফ্লাইওভার> কাকরাইল> পল্টন> নটরডেম কলেজ> শাপলা চত্বর> বাফুফে ভবন।
কিন্তু ছাদখোলা বাস এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ থেমে যায়। প্রায় ১০ মিনিট থেমে থাকার পর বাসটি ধীরে ধীরে চলতে থাকে। এ সময় এক্সপ্রেসওয়ের একটা অংশে যানজট তৈরি হয়। যে উদ্দেশে এই রুট করে দেওয়া, সেটাই তো হলো না। বরং এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি হয়েছে যানজট। বাসটি সেখানে থেমে থাকল কেন? দলের একটি সূত্র জানিয়েছে দুপুরে না খাওয়া বাংলাদেশের মেয়েরা দ্রুত বাফুফে ভবনে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সংবাদকর্মীদের ভিডিও ধারণের জন্য বাসটি থামতে বাধ্য হয়, একটা সময় পর্যন্ত ধীরে ধীরে চলতেও বাধ্য হয়।
বিজয়ী মেয়েদের বরণ করতে বাফুফে ভবনে এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।