থাক না রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার দগদগে স্মৃতি। সে তো চ্যাম্পিয়নস লিগে। প্রিমিয়ার লিগে তো লিভারপুল ছন্দেই। জয় এসেছিল সর্বশেষ দুই ম্যাচে।
ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচের আগে আশাবাদী থাকা সমর্থকদের আবারও হতাশ করেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। আজ লিগে প্যালেসের সঙ্গে ০-০ ড্র করেছে লিভারপুল। এর আগে দুই দলের অ্যানফিল্ডের ম্যাচ শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর এই প্রথম লিগের উভয় ম্যাচে ক্রিস্টালকে হারাতে ব্যর্থ লিভারপুল।
মৌসুমের তৃতীয় গোলশূন্য ড্রয়ের সুবাদে অবশ্য পয়েন্ট তালিকায় এক ধাপ এগিয়েছে ‘অল রেড’রা। ২৩ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট তুলে তালিকায় অবস্থান ৭ নম্বরে। চারে থাকা টটেনহামের চেয়ে পিছিয়ে ৬ পয়েন্টে।
ম্যাচের স্কোরলাইন সমতার কথা বললেও লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল লিভরপুলই। অন্তত দুইবার গোলবঞ্চিত হয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ ও দিয়োগো জোতা।
চোটে পড়া দারউইন নুনিয়েজের জায়গায় নেমেছিলেন জোতা। প্রথমার্ধের বিরতির আগে এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের হেড ক্রসবারে লাগে।
পুরো প্রথমার্ধে একবারও লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি প্যালেস।
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে আবারও ক্রসবার দুর্ভাগ্যের শিকার হয় লিভারপুল। আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের শট প্যালেস রক্ষণে বাধা পেয়ে চলে এসেছিল সালাহর কাছে। মিশরীয় ফরোয়ার্ডের জোরালো শট প্রতিহত করার সুযোগ ছিল না প্যালেস গোলরক্ষক ভিসেন্তে গুইতার। তবে বল আঘাত হানে ক্রসবারে।
লিভারপুলের সামনে পরের ভালো সুযোগটি আসে ৮১ মিনিটে। প্যালেস রক্ষণ চিরে কোডি গাকপোকে বল বাড়িয়েছিলেন সালাহ। ছুটে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টায় বল বাইরে মেরে দেন চলতি বছর লিভারপুলে যোগ দেওয়া এই ডাচ ফরোয়ার্ড।
একের পর এক সম্ভাবনা নষ্টের কারণে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে ক্লপের দলকে। ২০২৩ সালে জয়বিহীন আরেকটি ম্যাচ নিয়ে মাঠ ছাড়ে পয়েন্ট তালিকার ১২তম স্থানে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেস।
এ দিকে শনিবার রাতে লিভারপুলের আগে মাঠে নামে আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটিও। গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির একমাত্র গোলে লেস্টার সিটিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল।
আর ম্যানচেস্টার সিটি ৪-১ ব্যবধানে হারায় বোর্নমাউথকে। সিটির হয়ে গোল করেন হুলিয়ান আলভারেজ, আর্লিং হলান্ড, ফিল ফোডেন ও ক্রিস মেপহাম।
২৪ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। এক ম্যাচ বেশি খেলে সিটির পয়েন্ট ৫৫।