মোরছালিন–তারিক কাজী নেই, কী ভাবছেন কাবরেরা
গত নভেম্বরে লেবাননের বিপক্ষে দারুণ এক গোল করেছিলেন শেখ মোরছালিন। বসুন্ধরা কিংসের এই তরুণ ফুটবলার অবশ্য এর আগেই নজর কেড়েছিলেন দারুণ কিছু গোল করে। গত বছর জুনে বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপ আর ভুটানের সঙ্গে দুটি গোল তাঁকে পরিচিত করে তোলে। এরই মধ্যে মোরছালিন পরিণত হয়েছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে। দেশের হয়ে ৯ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪ গোল করা সেই মোরছালিন মার্চে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে থাকছেন না চোটের কারণে। যদিও তিনি যে জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকছেন না, সেটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই।
জাতীয় দলের এই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ঘরোয়া ফুটবলে মাঠে দেখা যায় না। তাঁর ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের হয়ে প্রথম একাদশে জায়গা নেই তাঁর। কালেভদ্রে মাঠে নামেন, প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে খেলেননি একটি ম্যাচও। নিজের পরিকল্পনার একজন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র যখন ঘরোয়া ফুটবলে নিয়মিত খেলতে পারছেন না, ব্যাপারটি কীভাবে দেখেন জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা?
বাংলাদেশের স্প্যানিশ হেড কোচ অবশ্য এ ব্যাপারে খুবই সোজাসাপটা, ‘বসুন্ধরা কিংসে বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলার আছে। মোরছালিন খেলবে কি খেলবে না, এটা পুরোপুরি ক্লাবের কোচের বিষয়। তিনি বিদেশিদের জায়গায় মোরছালিনকে আদৌ খেলাবেন কি না তিনিই জানেন।’
মোরছালিন পায়ের পাতায় চোটে পড়েছেন। সেরে উঠতে সময় লাগছে। সে কারণে তিনি জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে নেই, তবে থাকলে ঘরোয়া ফুটবলে নিয়মিত না খেলার ঘাটতি সৌদি আরবের অনুশীলন ক্যাম্পে পুষিয়ে নেওয়া হতো বলে জানালেন কাবরেরা, ‘মোরছালিন তো আগেও নিয়মিত খেলার সুযোগ পায়নি। এবার চোটের কারণে সে নেই, নয়তো সৌদি আরবে যে দুই সপ্তাহের মতো অনুশীলন করব আমরা, সেটি দিয়েই ওর ম্যাচ না খেলার ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া যেত।’
ওরা যখন নেই-ই, তখন আর এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। প্রাথমিক দলটা ২৮ জনের। তারিক বা মোরছালিনের না থাকাটা অন্য খেলোয়াড়দের জন্যও সুযোগ।
মোরছালিনের মতো চোটে পড়ে নেই ডিফেন্ডার তারিক কাজীও। কিছুদিন আগে ফেডারেশন কাপের ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন তিনি। সেই চোট বেশ গুরুতর। মোরছালিন আর তারিকের দলে না থাকাটা এখন কাবরেরার জন্য বাস্তবতা। তবে আজ বাফুফে ভবনের সংবাদ সম্মেলনে কোচের কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, এ দুজনকে বেশ মিস করবেন তিনি, ‘তারিক খুবই অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। মোরছালিনও বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তারা দুজন চোটে পড়েছে, তাদের এখন পরিচর্যা করতে হবে। তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে জাতীয় দলের হয়ে পরের ম্যাচগুলো খেলতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তবে ওরা যখন নেই-ই, তখন আর এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। প্রাথমিক দলটা ২৮ জনের। তারিক বা মোরছালিনের না থাকাটা অন্য খেলোয়াড়দের জন্যও সুযোগ।’