যোগ করা সময়ে ‘সুপার সাবের’ জোড়া গোলে জিতল ইউনাইটেড
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২-১ ব্রেন্টফোর্ড
‘থিয়েটার অব ড্রিমস’ ওল্ড ট্রাফোর্ড যেন আক্ষরিক অর্থেই স্বপ্নের নাট্যশালা হয়ে উঠল!
নিশ্চিত হার ধরে নিয়ে কেউ হতাশায় আবার কেউ ক্ষোভে স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। যাবেন না-ই বা কেন? সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের দুই ম্যাচেও হেরে যাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যে তখন আরেকটি হার থেকে রেফারির শেষ বাঁশি শোনা সময়ের দূরত্বে। মানে, ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৯২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড পর্যন্তও তারা ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে!
এরপরই দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন ‘সুপার সাব’ স্কট ম্যাকটমিনে। যোগ করা সময়ে ম্যাকটমিনের জোড়া গোলেই ২-১ ব্যবধানে জিতল ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে এবারই প্রথম নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থেকেও জিতল রেড ডেভিলরা। ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথম বদলি হিসেবে যোগ করা সময়ে জোড়া করে জেতানো খেলোয়াড়ও ম্যাকটমিনে। আর লিগে সর্বশেষ এমন ঘটনা দেখা গেছে গত বছর জানুয়ারিতে; সে বার যোগ করা সময়ে স্টিভেন বার্গভেইনের জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়েও লেস্টার সিটিকে হারিয়েছিল টটেনহাম।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে মাথিয়াস ইয়েনসেনের গোলে এগিয়ে যায় ব্রেন্টফোর্ড। সেই গোলটাই ধরে রেখে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ঐতিহাসিক এক জয়ের পথেই এগোচ্ছিল লন্ডনের ক্লাবটি।
কিন্তু ৮৭ মিনিটে সোফিয়ান আমরাবাতের বদলি নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ম্যাকটমিনে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে সমতা ফেরান। এর ৪ মিনিট পর হ্যারি ম্যাগুয়ারের বাড়ানো বলে করেন জয়সূচক গোল।
ইউনাইটেডের মতো চেলসিও আজ পিছিয়ে পড়ে জিতেছে। তবে চেলসির জয় এতটা নাটকীয় ছিল না। ঘরের মাঠ টার্ফ মুরে ১৫ মিনিটে উইলসঁ ওদোবারের গোলে এগিয়ে যায় বার্নলি। কিন্তু ৪২ মিনিটে আমিন আল দাখিল আত্মঘাতী গোল করলে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য হন্যে হয়ে ওঠে চেলসি। সফলতা আসে ম্যাচের ৫০ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্লুজদের এগিয়ে দেন কোল পালমার। পরে আরও দুটি গোল করেন রাহিম স্টার্লিং ও নিকোলাস জ্যাকসন।
জয়ের পরও অবশ্য স্বস্তিতে নেই ইউনাইটেড ও চেলসি। ১২ পয়েন্ট নিয়ে এরিক টেন হাগের দল আছে ১০ নম্বরে। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে মরিসিও পচেত্তিনো দল আছে ১১ নম্বরে।