স্লটে ছয়ে ছয়, লিভারপুলের ১৩২ বছরের ইতিহাসেই যা প্রথম
লিভারপুলের আরও একটি জয়, আর্নে স্লটের আরও একটি রেকর্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগে গতকাল রাতে লাইপজিগের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে মৌসুমের প্রথম ৬ ম্যাচেই জিতল ক্লাবটি। লিভারপুলের ১৩২ বছরের ইতিহাসে যা এবারই প্রথম।
৪৬ বছর বয়সী এই ডাচ কোচের অধীনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ কাপ (কারাবাও কাপ নামে পরিচিত) মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলেছে লিভারপুল, জয় ১১টিতে। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজের প্রথম ১২ ম্যাচের ১১টিতেই জিতলেন স্লট।
এমন দুর্দান্ত কিছু রেকর্ড গড়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্লট। তবে তাঁর চোখ রেকর্ডে নয় ট্রফিতে, ‘অনেক দারুণ দল এই জার্সি গায়ে তুলেছে, দুর্দান্ত কিছু ম্যানেজার এই ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন। আগে হয়নি এমন কিছু অর্জন করা এত বড় ক্লাবে আসলে অসম্ভব। তবে কিছু অর্জন করতে পারাও দারুণ ব্যাপার। রেকর্ড অবশ্যই ভালো কিছু, তবে রেকর্ডের চেয়ে ভালো একটা বিষয় আছে, আমি কী বলতে চাইছি সেটা আমরা জানি, আমার মনে হয় সেটা ট্রফি।’
এক গোল ব্যবধানে জিতলেও ম্যাচের বেশির ভাগ সময় দাপট দেখিয়েছে লিভারপুল। স্লট বলেছেন, ‘যদি ড্র নিয়ে এখান থেকে ফিরতে হতো, মনে হতো আমরা কিছু হারিয়েছি। সম্ভবত ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিট বাদ দিলে ম্যাচের প্রথম ৭০ মিনিটই আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
মোহাম্মদ সালাহকে ম্যাচের ৩০ মিনিট বাকি থাকতে তুলে নেওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন স্লট, ‘আমাদের চোটের সমস্যা আছে, খেলোয়াড়দের ঠিকভাবে দেখাশোনা করতে হবে। আমাদের খেলোয়াড়দের অনেক খেলতে হয়েছে, মোহাম্মদ সালাহ তাদের একজন। আগামী রোববার বড় একটি ম্যাচও আছে।’ সেদিন প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে লিভারপুল।
প্রিমিয়ার লিগে ৮ রাউন্ড শেষে লিভারপুল এখন শীর্ষে। জয়ে পেয়েছে ৭টিতে। হেরেছে শুধু নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়নস লিগেও জিতেছে ৩টি ম্যাচে। ৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে, সমান ৯ পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে অ্যাস্টন ভিলা।
লিভারপুল অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইকের মুখেও শোনা গেল স্লটের প্রশংসা, ‘এভাবে তাঁকে চালিয়ে যেতে হবে, আমাদের উন্নতি করাতে হবে, দেখাতে হবে আমাদের কাছ থেকে সে কী চায়, সবার সঙ্গে মজা করতে হবে—আমার মনে হয় মাঠেও আমরা সেটাই দেখাচ্ছি। মৌসুম অনেক বড়। বিনয়ী থেকে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।’