চ্যাম্পিয়নস লিগে আগামীকাল রাতে মাঠে নামবে পিএসজি। শেষ ষোলোয় ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখের। প্রথম লেগ ১-০ গোলে হারায় ফিরতি লেগে একটু চাপেই আছে ফরাসি ক্লাবটি। এর পাশাপাশি চোটের কারণে মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন নেইমার।
কিন্তু লিওনেল মেসি বরাবরের মতোই ইতিবাচক। কাল পিএসজির সাইটে প্রকাশিত তাঁর সাক্ষাৎকার পড়লে এমনই মনে হবে। বায়ার্নের বিপক্ষে ফিরতি লেগের আগে ফুরফুরে মেজাজেই আছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
প্রশ্ন: দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটছে! পিএসজির হয়ে দারুণ শুরুর পর প্রথম বিশ্বকাপ জিতলেন, এরপর ক্লাবের সতীর্থরা যেভাবে বরণ করে নিল...কেমন লেগেছে?
মেসি: সত্য হলো, খুব ভালো লেগেছে। চমৎকার উপভোগ করেছি এবং এসব অনুভূতি ব্যাখ্যা করাও কঠিন। বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল। এই স্মৃতি কখনো ভোলার নয়। সব আর্জেন্টাইন এবং যারা খেলার সুযোগ পেয়েছে, তারা সবাই এই স্মৃতি মনে রাখবে।
প্রশ্ন: ফাইনালটা নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু? এমবাপ্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। আর এখন পিএসজির জার্সিতে আপনার পারফরম্যান্স দেখে মনে হয় সৌভাগ্যটা ক্লাবের...?
মেসি: ফাইনালটা যে দম আটকানো ছিল তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ম্যাচের মুহূর্তগুলো পাগলাটে ছিল। কিলিয়ান তিন গোল করেও ফাইনাল জিততে পারেনি। এটা পাগলাটে ফাইনাল ছাড়া আর কী! কিন্তু সে এটা আগেই জিতেছে এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে কেমন লাগে, সেটাও জানে। একই দলে তার সঙ্গে খেলাটা দারুণ ব্যাপার। আশা করি প্যারিসে আমরা দারুণ কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: দারুণ কিছু করার কথা বলছিলেন, এ বছর আপনি ফিফা ‘বেস্ট’ জিতেছেন দেশ ও ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য। এই মৌসুম কেমন লাগছে?
মেসি: হ্যাঁ, খুব ভালো লাগছে। প্রথম বছর প্যারিসে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। সেটি বিভিন্ন কারণে। কিন্তু এ মৌসুম অন্যভাবে শুরু করেছি। অনেক কিছু জেতার ইচ্ছে আছে মনে। আমি এই ক্লাব, শহর ও শহরের মানুষদের উপভোগ করতে শুরু করেছি। হ্যাঁ, খুব ভালো একটা মৌসুম কাটাচ্ছি। তবে আমার জীবনটাই এমন। প্রতিদিনই নিজেকে নিংড়ে দিই, আরও বেশি সাফল্য চাই। আমি প্যারিসের হয়ে শিরোপা জিততে চাই। মৌসুমের শুরুতে যেসব বড় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যস্থির করেছি, সেগুলো জিততে চাই।
প্রশ্ন: লিল ও ক্লাসিকোয় জয় কি বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছে?
মেসি: হ্যাঁ, তা তো বটেই। তবে আমার মনে হয় মার্শেইয়ের বিপক্ষে আমরা উন্নতি করেছি। দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। এখন বায়ার্নের বিপক্ষে সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এটাই সবার লক্ষ্য। এমন মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামতে হবে। আমরা মিউনিখে গিয়ে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলব। তবে আমার মনে হয় নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাকমতো করলে জেতা সম্ভব।