৫ বছর আগে মাত্র ৪০ লাখ পাউন্ডে হলান্ডকে কিনতে পারত ইউনাইটেড
আর্লিং হলান্ডকে ২০১৮ সালেই কিনতে পারত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড—এমন খবর দেখে ইউনাইটেড–ভক্তরা এখন মন খারাপ করতেই পারেন। হলান্ডকে কেনার প্রস্তাবটা ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে এসেছিলেন নরওয়েজীয় কোচ ওলে গুনার সুলশার। যিনি এই প্রস্তাব আনার ছয় মাস পর ইউনাইটেড কোচের দায়িত্ব নেন।
সুলশার যখন ‘রেড ডেভিল’দের হলান্ডকে কেনার পরামর্শ দেন, তখন ইউনাইটেডের কোচ ছিলেন জোসে মরিনিও। কিন্তু সে সময় সুলশারের প্রস্তাবে কেউ কান দেননি। এর কয়েক দিন পরই হলান্ড নাম লেখান অস্ট্রিয়ান ক্লাব সাল্জবুর্গে। যেখান থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড হয়ে পরে ৬ কোটি ইউরো (৭০২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা) রিলিজ ক্লজে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসেন হলান্ড। আর সিটিতে এসে চলতি মৌসুমে হলান্ড কী করছেন, সেই ইতিহাস তো সবারই জানা।
একের পর রেকর্ড ভেঙে প্রিমিয়ার লিগের নতুন গল্প লিখে চলেছেন এই স্ট্রাইকার। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে হলান্ডের গোল এখন ৫১টি, এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগেই ৩৫টি। এমন কাউকে নামমাত্র দামে সুযোগ পেয়েও দলে না নেওয়ার আক্ষেপ নিশ্চয় ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষকেও পুড়িয়ে থাকবে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইউনাইটেডের কোচ হয়ে আসেন ক্লাবেরই সাবেক ফুটবলার সুলশার। ২০২১ সালের নভেম্বরে ইউনাইটেড কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হন নরওয়ের এই কোচ।
সম্প্রতি ইউনাইটেডের কাছে হলান্ডকে কেনার পরামর্শ দেওয়ার ঘটনা সামনে এনেছেন সুলশার। সে স্মৃতি মনে করে দ্য সানকে সুলশার বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার ৬ মাস আগে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষকে ফোন করি, তাদের বলেছি আমি একজন স্ট্রাইকারকে খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। আমি তাদের কাছ থেকে হলান্ডের জন্য ৪ মিলিয়ন পাউন্ড (৫৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা) চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা এরপরও তাকে দলে ভেড়ায়নি।’