একটা মধুর বিড়ম্বনায় পড়েছি। আর্জেন্টিনা–পোল্যান্ড ম্যাচে আজ কাকে সমর্থন করব, বুঝে উঠতে পারছি না। ঠিক করেছি, নিরপেক্ষ থাকব। ম্যাচ নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণীও করব না।
পোল্যান্ড আমার একমাত্র ছেলের শ্বশুরবাড়ি। বউমার ব্রিটিশ পাসপোর্ট থাকলেও সে জন্মসূত্রে পোলিশ। বুঝতেই পারছেন, আমার পরিবারে পোল্যান্ডের সমর্থন প্রবল। নাতিরা পোল্যান্ডের পক্ষে। ওদিকে বলতে গেলে, গোটা বাংলাদেশই আর্জেন্টিনার সমর্থক। আর্জেন্টিনার জন্য আমারও শুভকামনা থাকে সব সময়।
দুই দলের খেলার ধরন, শক্তি, খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য বিবেচনায় আর্জেন্টিনা এগিয়ে। তবে মেসিদের জন্য ম্যাচটা সহজ হবে না। পোল্যান্ড বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়ে কাতারে এসেছে। তাদের আছে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে লেভানডফস্কির একের পর এক কীর্তি আমরা দেখেছি। পোল্যান্ডের ফরোয়ার্ড আরকাদিয়ুশ মিলিকও বেশ ভালো। সত্যি বলতে, এরা আর্জেন্টিনার রক্ষণের একটা বড় পরীক্ষা নিতে পারে আজ।
পোল্যান্ডের যেহেতু ড্র হলেও চলছে, তারা ড্রয়ের জন্যও খেলতে পারে। আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে জিততে হবে। জয়ের জন্য সেরা ফুটবলটাই খেলতে হবে মেসিদের। আমার ধারণা, ফল যেকোনো দিকে যেতে পারে। কিন্তু কী ফল হবে, সেই অনুমানের ঝুঁকিতে আমি যাব না।
তবে মেক্সিকোর বিপক্ষে আমি আজ সৌদি আরবের সমর্থক। সৌদি আরব আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিয়েছে। দলটির রানিং ভালো, প্রথম ম্যাচে গোলকিপিংও দুর্দান্ত হয়েছে। আমার তো মনে হয়, মেক্সিকোর বিপক্ষে সৌদি আরব জিতেও যেতে পারে। ওরা আমাদের বন্ধুদেশ। বন্ধুরা হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিক, এটা কোনোভাবেই চাইব না।
ফ্রান্স প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সবার আগে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে। তাই বলে আজ তিউনিসিয়ার সঙ্গে তারা হালকা মেজাজে খেলবে, তা নয়। ফ্রান্স শিরোপা ধরে রাখতে কাতার গেছে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণও দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ফ্রান্সকে নিয়ে আমার ভবিষ্যদ্বাণী পুরোপুরি মিলেছে। ফরাসিরা আজও ফেবারিটের মতোই খেলবে। শেষ পর্যন্ত যদি আজ না-ও জেতে এমবাপ্পেরা, হারবে না, এটা জোর দিয়ে বলতে পারি।
হাতে ১ পয়েন্ট থাকায় তিউনিসিয়া চেষ্টা করবে ফ্রান্সকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার দৌড়ে থাকতে। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হবে ডেনমার্কের কাছে। অন্যদিকে ডেনমার্ককে হারালে অস্ট্রেলিয়া শেষ ষোলোতে চলে যাবে। তবে আমার মনে হয়, ডেনমার্কই যাবে শেষ ষোলোতে। স্ট্রাইকার মার্টিন ব্র্যাথওয়েট বেশ চনমনে। কাসপার ডোলবার্গও ভালো। তারা নিশ্চয়ই চেষ্টা করবে দলকে দ্বিতীয় রাউন্ডে নিয়ে যেতে।