‘কিংবদন্তি’ রোনালদোর মুখোমুখি হওয়া এমবাপ্পের কাছে ‘সম্মানের’

ইউরোতে আজ মুখোমুখি হচ্ছেন এমবাপ্পে ও রোনালদোএএফপি

কিলিয়ান এমবাপ্পে তখন তরুণ, মোনাকোতে তিনি উঠতি তারকা। সে সময় তাঁর দেয়ালে দেয়ালে ঝোলানো থাকত একজন প্রতিষ্ঠিত ফুটবল তারকার নানা রকমের ছবি। এমবাপ্পের সেই আদর্শ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এটা এখন সবারই জানা।

নিজের সেই আদর্শের বিপক্ষেই বাংলাদেশ সময় আজ রাত একটায় ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সকে নিয়ে সেমিফাইনালে যেতে হলে তাঁকে হারাতে হবে রোনালদোর পর্তুগালকে।

আরও পড়ুন
এমবাপ্পে কি পারবেন তাঁর আদর্শ রোনালদোকে ছাপিয়ে যেতে?
এএফপি

নিজের আদর্শের বিপক্ষে লড়াই—এ ম্যাচ নিয়ে এমবাপ্পের ভাবনাটা আসলে কী, এমনটা জানার ইচ্ছা রোনালদো আর এমবাপ্পের ভক্তদের হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন প্রশ্ন এমবাপ্পেকে করা হয়েছিল ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও।

এমবাপ্পে সেই প্রশ্নের উত্তরে রোনালদোকে ‘কিংবদন্তি’ বলে সম্বোধন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রোনালদোর মতো কিংবদন্তির বিপক্ষে খেলতে পারাটা তাঁর জন্য বিশেষ সম্মানের।

ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে আজকের ফ্রান্স-পর্তুগাল ম্যাচ নিয়ে এমবাপ্পে বলেছেন, ‘এটা সম্মানের। ক্রিস্টিয়ানোর জন্য আমার প্রশংসা সব সময়ের জন্য। এর মধ্যে তাকে জানার এবং তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ অনেকবারই হয়েছে আমার। আমাদের এখনো যোগাযোগ আছে। সে আমাকে সব সময়ই পরামর্শ দেওয়া চেষ্টা করে এবং আমি কী করছি বা কেমন আছি, সেই খবর রাখে।’

আরও পড়ুন
রোনালদোর এবারের ইউরোটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না
এএফপি

এমবাপ্পে এরপর যোগ করেন, ‘এটা আনন্দের, সে ফুটবলে যা করেছে, তার বিপক্ষে খেলাটা সম্মানের। আগে কী হয়েছে বা পরে কী হবে, এটা কোনো বিষয় নয়। সে সব সময়ই এ খেলার কিংবদন্তি থাকবে।’ এমবাপ্পে এরপর এ ম্যাচের সম্ভাব্য ফল নিয়ে বলেছেন, ‘আশা করছি, আমরা এ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে যাব।’

ফুটবল মাঠে এর আগেও মুখোমুখি হয়েছেন রোনালদো-এমবাপ্পে। দুজনের চারবারের দেখার দুটি ক্লাব ফুটবলে, দুটি আন্তর্জাতিক ফুটবলে। দুজনের প্রথম মুখোমুখি লড়াই ২০১৮ সালে। সেবার তাঁরা মুখোমুখি হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে এমবাপ্পের পিএসজিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল রোনালদোর রিয়াল। দ্বিতীয় লেগেও রিয়াল জেতে ২-১ গোলে।

পর্তুগাল ও ফ্রান্সের হয়ে রোনালদো আর এমবাপ্পে প্রথম মুখোমুখি হন ২০২০ সালে। পরের বছর আবার মুখোমুখি হন তাঁরা যথাক্রমে পর্তুগাল ও ফ্রান্সের হয়ে। দুটি ম্যাচই ছিল নেশনস লিগে আর দুটি ম্যাচ হয়েছিল ড্র। প্রথমটি ছিল গোলশূন্য ড্র আর দ্বিতীয় ড্র হয়েছিল ২-২ গোলে।

আরও পড়ুন