রিয়ালে অন্য লড়াই: এমবাপ্পের চেয়ে বেশি বেতন চান ভিনিসিয়ুস, বেলিংহাম

রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের ত্রয়ী এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম (বাঁ থেকে)উয়েফা

মাঠে তাঁরা সঙ্গী। প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়েন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তবে মাঠের বাইরে লড়াইয়ে একে অপরের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হয়ে উঠেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদের তিন তারকাই ক্লাবের সর্বোচ্চ বেতনধারী খেলোয়াড় হতে চান। এমবাপ্পে এ মুহূর্তে সর্বোচ্চই পান। যে কারণে আপাতত ‘লড়াই’য়ে তিনি সরাসরি নেই।

তবে ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম পরোক্ষে মুখোমুখিই দাঁড়িয়ে গেছেন। ভিনিসিয়ুস চান, রিয়ালে সবচেয়ে বেশি বেতন পাবেন তিনি। আবার বেলিংহামও মনে করেন, এমবাপ্পে–ভিনিসিয়ুসের চেয়ে বেশি বেতন প্রাপ্য তাঁর।

সম্প্রতি ভিনিসিয়ুসকে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি প্রো লিগ। এ জন্য ১০০ কোটি ইউরো বা ১২ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার প্রাথমিক প্রস্তাবও নাকি দেওয়া হয়েছে। আর সৌদি লিগের এমন আগ্রহের জেরেই রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের আলোচনা শুরু করেছেন ভিনিসিয়ুস। ইএসপিএনের এক সূত্র জানিয়েছে, ভিনি চান এমন এক চুক্তি, যা তাকে এমবাপ্পে ও বেলিংহামের চেয়েও বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। বর্তমানে তিনি বছরে আনুমানিক ১ কোটি ইউরোর মতো বেতন পেয়ে থাকেন। সঙ্গে কিছু অ্যাড অন আছে।

স্প্যানিশ দৈনিক দিয়ারিও এএস অবশ্য ভিনিসিয়ুসের বেতন দেড় কোটি ইউরোর মতো বলে উল্লেখ করেছে, যা এমবাপ্পের কাছাকাছি। তবে একটা জায়গায় এমবাপ্পের চেয়ে কমই পান ভিনিসিয়ুস। সর্বশেষ গ্রীষ্মে পিএসজি থেকে আসা এমবাপ্পে চুক্তিতে সইয়ের বোনাস হিসেবে পেয়ে থাকেন বছরে ৮০ লাখ ইউরোর মতো।

আরও পড়ুন

এএস বলছে, ভিনিসিয়ুসের চুক্তি নবায়নের বিষয়টিতে নজর রাখছেন বেলিংহাম। এরই মধ্যে তাঁর প্রতিনিধিদল রিয়াল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছে। ২০২৩ সালে ডর্টমুন্ড থেকে আসা বেলিংহাম বর্তমানে বছরে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি ইউরোর মতো পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। তবে গত দেড় বছরে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগে পারফরম্যান্স বিচারে নিজেকে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়ার দাবিদার মনে করছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। যেহেতু রিয়ালের সঙ্গে বেলিংহামের চুক্তির মেয়াদ ২০২৯ সাল পর্যন্ত, সে জন্য ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি দেখে নিজের দাম নির্ধারণ করার লক্ষ্য বেলিংহামের।

এমন প্রেক্ষাপটে রিয়াল মাদ্রিদে জটিল পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। কারণ, ভিনিসিয়ুস, বেলিংহামের বেতন বৃদ্ধি করা হলে রদ্রিগো, ফেদে ভালভের্দে, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গারাও একই দাবি তুলতে পারেন। একই সময়ে একাধিক তারকা ফুটবলার দলে রেখেও তাঁদের আর্থিক চাহিদা দক্ষ হাতে সামলানোর অভিজ্ঞতা অবশ্য আছে রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের। যদিও ২০১৮ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রিয়াল ছেড়ে যাওয়ার পেছনে পেরেজের সঙ্গে বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়া ছিল মূল কারণ।

আরও পড়ুন

এবার পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেটি নির্ভর করছে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে চুক্তির বিষয় সামাল দেওয়ার ওপর। ২০২৪ সালে ফিফা দ্য বেস্ট জেতা এই ফরোয়ার্ড রিয়ালের সঙ্গে যেমন বেতন নিয়ে আলোচনা করছেন, তেমনি সৌদি প্রো লিগে যাওয়ার বিষয়টিও পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। কারণ, কিছুদিন আগেই নাকি তিনি ও তাঁর প্রতিনিধিদল সৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে একটি অনলাইন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, পুরো বিষয়টি রিয়াল কীভাবে সামলায়।