গারনাচোর মধ্যে তরুণ রোনালদোর ছায়া
লিওনেল মেসির দেশের খেলোয়াড়। আর্জেন্টিনার হয়ে তাঁর খেলার কথা ছিল বিশ্বকাপেও। যদিও শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি চূড়ান্ত স্কোয়াডে। বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ না পেলেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন আলেহান্দ্রো গারনাচো।
তবে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় হলেও আবির্ভাবের শুরু থেকেই গারনাচোকে তুলনা করা হচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। রোনালদোর বড় ভক্তও এই আর্জেন্টাইন। তাঁর মধ্যে এবার পর্তুগিজ মহাতারকার ছায়া দেখার কথা বলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ফুটবলার পল স্কোলসও। এ সময় গারনাচোকে তিনি শিল্পী বলেও সম্বোধন করেছেন।
এরিক টেন হাগের অধীনে ইউনাইটেড যেন বদলে যাওয়া এক দল। তারুণ্য ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে দারুণ এক দল গড়ে তুলেছেন টেন হাগ। ‘রেড ডেভিল’দের হয়ে নিজেকে দারুণভাবে চেনাচ্ছেন গারনাচোও। প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৩৫২ মিনিট খেলে ২টি গোল ও ২টি সহায়তা করেছেন গারনাচো। শুধু গোল ও সহায়তাতেই নয়, মাঠজুড়ে খেলে নিজের প্রভাবও রাখছেন দারুণ। তাঁকে নিয়ে স্কোলস বলেছেন, ‘সে এমন একজন উইঙ্গার, যে কিনা যেকোনো জায়গায় খেলতে পারে। এটা তাকে অননুমেয় করে তুলেছে।’
মাত্র কয়েক ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদসহ অনেক ইউরোপীয় পরাশক্তির চোখে পড়েছেন গারনাচো। তবে তাঁকে ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ইউনাইটেড। গারনাচোর খেলা নিয়ে মুগ্ধ স্কোলস বলেছেন, ‘তার সব ধরনের দক্ষতা আছে। এই ক্লাব শিল্পীদের ভালোবাসে। আলেসান্দ্রোর (গারনাচো) খেলাও অনেকটা রোনালদোর মতো। শেষ ২০–৩০ মিনিটের জন্য মাঠে নেমে সে অন্য যে কারও চেয়ে ভালো খেলতে পারে।’
আর্জেন্টিনা ও ইউনাইটেডের ফুটবলের ভবিষ্যৎ বিবেচিত হওয়া গারনাচোকে নিয়ে স্কোলস আরও বলেছেন, ‘সে দারুণ মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। তার যে বিষয়টা আমি পছন্দ করি, সেটা হলো সে আগ্রাসী। সে দৌড়ে গিয়ে ডিফেন্ডারদের ড্রিবলে পরাস্ত করতে পারে। সে দারুণ একজন খেলোয়াড় হতে যাচ্ছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করার দারুণ ইতিহাস আছে। অতীতেও এমন কিছু উদাহরণ পাওয়া যাবে। তাই এখন আরেকজনকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমি একাডেমি এবং সেখানে কাজ করা কোচদের নিয়ে সত্যিই অনেক খুশি। তারা দারুণ কাজ করছে।’