গার্দিওলা–মেসি হেতাফেরও হতে পারতেন
লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে হেতাফের অবস্থানটা একটু বিশেষ। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ২০০৭ সালে নিজের অন্যতম সেরা ‘ম্যারাডোনা গোল’টা এই দলের বিপক্ষেই করেছিলেন মেসি। সেদিন নিজেদের অর্ধ থেকে গোলকিপারসহ হেতাফের পাঁচ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোলটা দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এখনো সেটা মেসির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা গোল হয়ে আছে।
তবে এবার মেসি–হেতাফের নতুন সংযোগের খবরও জানা গেল। হেতাফের প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেল তোরেস বলেছেন, ২০০৮ সালে মেসিকে দলে ভেড়ানোর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। শুধু মেসিই নন, পেপ গার্দিওলাকেও কোচ হিসেবে নেওয়ার ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল ক্লাবটি।
গার্দিওলা তখন ছিলেন বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচ। সে সময় তাঁকে মূল দলের দায়িত্ব দিয়ে নিতে চেয়েছিল হেতাফে। সে সময়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তোরেস বলেছেন, ‘আমরা সেবার ইউরোপিয়ান লড়াইয়ে ছিলাম। আমরা ড্রয়ের জন্য গিয়েছিলাম। বেগিরিস্তেইন (বার্সেলোনার সাবেক ক্রীড়া পরিচালক) সেখানে ছিল, যে আমাকে বলেছিল, লাউড্রপকে কোচ হিসেবে বিবেচনা করছে। তাকে বলি যে তাহলে আমি গার্দিওলার সঙ্গে কথা বলব। আমরা একদিন বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দেখা করি। তবে দ্রুতই সব এলোমেলো হয়ে যায়। রাইকার্ড ছাঁটাই হয়, তার জায়গায় মাইকেল লাউড্রপের পরিবর্তে (বার্সায়) কোচ হিসেবে চলে আসে গার্দিওলা। যদিও সে হেতাফেতে আসার ব্যাপারে ইতিবাচক ছিল।’
সে সময় বার্সেলোনার সঙ্গে সমার্থক হয়ে যাওয়া মেসিকেও দলে টানার ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল হেতাফে। তোরেস আরও বলেছেন, ‘আমি লাপোর্তার সঙ্গে মেসির ব্যাপারেও কথা বলি। লাপোর্তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও খুব ভালো। আমরা খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। মেসি আর গার্দিওলা হেতাফেতে জুটি গড়তে পারত।’
শেষ পর্যন্ত মেসিকে নিতে না পারলেও ফুটবল কিংবদন্তির সঙ্গে সম্পর্কটা উষ্ণ ছিল তোরেসের, ‘আমার কাছে মেসির অন্তত ১০টি জার্সি আছে। সে প্রতিবছর আমাকে একটা করে পাঠাত। আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। ক্যাম্প ন্যুতে গেলে সে আমার হাতে জার্সি তুলে দিত।’