হংকংয়ে না খেলা নিয়ে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ খবর ঠেকাতে মেসির ভিডিও বিবৃতি
প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতিপর্ব শেষ করে ইন্টার মায়ামি এখন মেজর লিগ সকার (এমএলএস) শুরুর অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ সময় আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় রিয়েল সল্ট লেকের বিপক্ষে এমএলএসে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নামবে ইন্টার মায়ামি। এর আগে দলটির আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে কথা বলতে হলো প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতির একটি ম্যাচের বিতর্ক নিয়ে।
প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইন্টার মায়ামি এশিয়া সফরে এসেছিল। সৌদি আরবে আল হিলাল ও আল নাসরের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলার পর হংকংয়ে যায় তারা। সেখানে হংকং লিগ একাদশের সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলে মায়ামি। অ্যাডাক্টর পেশির সমস্যার কারণে সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি।
মানুষকে এও বলতে শুনছি, আমি রাজনৈতিক কারণে খেলিনি। আরও অনেক কারণের কথা তারা বলছে। যেটা সম্পূর্ণ অসত্য।
মোটা অঙ্কের টাকাপয়সা খরচ করে টিকিট কেটে মেসিকে খেলতে দেখতে না পাওয়ায় বেজায় চটেছিলেন হংকংয়ের দর্শকেরা। আয়োজকদের কাছে অর্থ ফেরত চেয়ে গ্যালারিতে স্লোগানও দিয়েছিলেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে নানা রকমের কথা বলেছেন হংকং সরকারের উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তা। এরপর আয়োজকেরা মেসির না খেলার বিষয়ে বলেছেন, আর্জেন্টাইন তারকা যে খেলবেন না, এটা তাঁদের আগে বলা হয়নি। বিষয়টি তাঁরা জানতে পেরেছেন ম্যাচ শুরুর খানিক আগে। ইন্টার মায়ামি অবশ্য এ নিয়ে একটি ব্যাখ্যা তখনই দিয়েছে।
মেসির না খেলার জেরে মার্চে চীন সফরে আর্জেন্টিনার দুটি প্রীতি ম্যাচ বাতিল হয়েছে। হাংজু ও বেইজিংয়ে ম্যাচ দুটি আর্জেন্টিনার খেলার কথা ছিল নাইজেরিয়া ও আইভরিকোস্টের বিপক্ষে। কিন্তু হাংজুর পর বেইজিং কর্তৃপক্ষও ম্যাচ বাতিল করে। সবকিছু নিয়ে মেসি যেন একটু বিরক্তই। এ কারণেই তিনি হংকংয়ে তাঁর না খেলাকে ঘিরে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ সব খবর নিয়ে একটি ভিডিও বিবৃতি দিয়েছেন।
চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে পোস্ট করা এক ভিডিওতে মেসি বলেছেন, ‘হংকংয়ের সেই ম্যাচের পর অনেক কিছু বলা হয়েছে, তার সবই আমি পড়েছি। আমি এই ভিডিও রেকর্ড করতে চেয়েছি আপনাদের সত্যি বিষয়টা জানানোর জন্য। যাতে কেউ যেন মিথ্যা খবরগুলো আর না পড়ে।’
চীনের কিছু রাজনীতিবিদ বলেছিলেন, মেসি পুরো ফিট থাকার পরও চীনকে ছোট করার জন্য হংকং লিগ একাদশের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেননি। তবে মেসি ভিডিওতে বলেছেন, ‘মানুষকে এও বলতে শুনছি, আমি রাজনৈতিক কারণে খেলিনি। আরও অনেক কারণের কথা তারা বলছে। যেটা সম্পূর্ণ অসত্য।’
মেসি এরপর যোগ করেন, ‘এটা যদি সত্যিই হতো তাহলে আমি জাপান বা চীন সফরে যেতাম না। দুই জায়গাতেই আমি অনেকবার গিয়েছি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চীনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ ও বিশেষ।’
হংকং থেকে জাপান সফরে যায় ইন্টার মায়মি। সেখানে ভিসেল কোবের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। এরপর তো হংকং সরকার ইন্টার মায়ামির কাছে মেসিকে ভিসেল কোবের বিপক্ষে ম্যাচে কেন খেলানো হলো, সেই ব্যাখ্যা চেয়েছিল।
মেসি অবশ্য হংকংয়ের বিপক্ষে খেলতে না পারার ব্যাখ্যা ভিসেল কোবের ম্যাচের আগেই সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছিলেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে বলা কথাগুলোর রেশ টেনে মেসি ভিডিওতে বলেছেন, ‘যেমনটা আমি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, আমার অ্যাডাক্টরে সমস্যা হয়েছিল এবং সৌদি আরবে প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারিনি। (সৌদি আরবে) দ্বিতীয় ম্যাচে আমি কিছু সময় খেলেছি। কিন্তু সমস্যা আরও বেড়েছে। এরপর হংকংয়ে ম্যাচের আগের দিন আমি অনুশীলনের চেষ্টা করেছি।’
এরপর জাপানে ভিসেল কোবের বিপক্ষে খেলার বিষয়ে মেসি বলেছেন, ‘কয়েক দিন পর আমি একটু ভালো অনুভব করি। এ কারণেই আমি জাপানে কিছুটা সময় খেলতে পেরেছি। ফিট হয়ে উঠতে এবং গতি ফিরে পেতে আমাকে খেলতেও হতো।’