হলান্ডের কাছ থেকে যে পরামর্শ পেলেন নবাগত লিভারপুল তারকা
লাইপজিগ থেকে লিভারপুলে এসেই আলোচনার কেন্দ্রে হাঙ্গেরীয় তরুণ ডমিনিক সোবোসলাই। লিভারপুলের মিডফিল্ডে যে ঘাটতি, সেটা আগামী মৌসুমে অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টার ও সোবোসলাইকে দিয়ে দূর করার স্বপ্ন দেখছে অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। এর আগে অবশ্য নতুন ক্লাব ও শহরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে তাঁদের।
নতুন শহর ও লিগকে বোঝার জন্য সোবোসলাই অবশ্য দারুণ এক পরামর্শক পেয়েছেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোন জায়গায় থাকবেন, সে ব্যাপারে হাঙ্গেরীয় তরুণকে পরামর্শ দিয়েছেন খোদ আর্লিং হলান্ড। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিতে নিজের প্রথম মৌসুমটা দারুণভাবে কাটিয়েছেন হলান্ড। তাই ট্রেবলজয়ী তারকাকে নিজের পরামর্শক হিসেবে পাওয়া দারুণ ব্যাপারই বটে।
হলান্ড অবশ্য উপযাচক হয়ে সোবোসলাইকে পরামর্শ দেননি। দুজনের মধ্যকার হৃদ্যতা বেশ আগে থেকে। অস্ট্রিয়ান ক্লাব আরবি সালজবুর্গে একসঙ্গে খেলেছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেই শুরু দুজনের বন্ধুত্বের। এখন প্রিমিয়ার লিগে দুজনের প্রতিপক্ষ হয়ে লড়বেন তাঁরা। তবে ভবিষ্যতের মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধুকে পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
মূলত প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে কথা শুরু হয়েছিল দুজনের, যা একপর্যায়ে আরও গভীরে গিয়ে কোথায় থাকবেন, সেখানে গিয়ে ঠেকেছে। সোবোসলাইকে পরামর্শ দিয়ে হলান্ড বলেছেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুলের মাঝামাঝি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাসা নিতে। এ সময় প্রিমিয়ার লিগে একে অপরের বিপক্ষে খেলা নিয়েও কথা বলেছেন তাঁরা।
হলান্ডের পরামর্শ নিয়ে সোবোসলাই বলেছেন, ‘আমরা কথা বলেছি। এত কথা হয়েছে যে হলান্ড আমাকে আবাসনসংক্রান্ত পরামর্শও দিয়েছে। আমরা দুজন যদি প্রতিবেশী হতে পারি, তবে সেটা দারুণ ব্যাপারই হবে। অবশ্য লিভারপুল-ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচে আমরা বন্ধুত্বকে এক পাশে সরিয়ে রেখে লড়াই করব। একে অপরের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা দারুণ হবে।’
নরওয়েজীয় তারকার পরামর্শ মেনে বাসা দেখতে যাওয়ার কথা জানিয়ে সোবোসলাই আরও বলেছেন, ‘আমি তার কাছ থেকে জেনেছি, অনেক খেলোয়াড় ম্যানচেস্টার ও লিভারপুলের মাঝামাঝি নির্জন এলাকায় থাকেন। সোমবার আমি অনুশীলন করব। আনুষ্ঠানিকতার কিছু কাজও বাকি আছে। এরপর আমি থাকার মতো সম্ভাব্য কিছু জায়গা দেখব। এরপর আমি লাইপজিগ গিয়ে আমার জিনিসপত্র নিয়ে সাবেক ক্লাবকে বিদায় বলে আসব। সবাইকে তাদের সহযোগিতা, ভালোবাসা ও উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ দেব। এরপর বুদাপেস্ট যাব। ১০ তারিখের দিকে আমি লিভারপুল ফিরে আসব। ১১ তারিখ থেকে নতুন দলের সঙ্গে অনুশীলনে যাব।’
লিভারপুলে নিজের লক্ষ্য নিয়ে সোবোসলাই বলেছেন, ‘আমি অনেক দূরে তাকাতে চাই না। আমি ধাপে ধাপে এগোতে চাই। প্রিমিয়ার লিগের ছন্দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং লিভারপুল-ক্লপের ভাবনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার অবশ্যই সময় লাগবে। খেলার সুযোগ পাওয়াটা সব সময় বড় ব্যাপার। আমি যদি তা পাই, তবে যত সম্ভব গোল ও অ্যাসিস্ট করার চেষ্টা করব।’