আনচেলত্তি–গার্দিওলা : কার পাতা ফাঁদে কে ধরা পড়বেন
গল্পটা একটা সবুজ মাঠের, যেখানে ২২ জন খেলোয়াড় একটি বল দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে হয়ে উঠতে চান নায়ক। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সেই বলকে জালে জড়িয়ে যাঁরা শেষ পর্যন্ত জিততে পারবেন, তাঁরাই এই গল্পের নায়ক। কিন্তু দৃশ্যপটে না থেকেও এই গল্পে আরও এক নায়ক আছেন, যিনি ডাগআউটে দাঁড়িয়ে পুরো গল্পে প্লট সাজাচ্ছেন। যেহেতু দুটি দল, তাই একই গল্পের প্লটও দুটি। যদিও শেষ পর্যন্ত জিততে পারবেন একজনই।
আজ রাতেও নিজ নিজ গল্পের প্লট নিয়ে ডাগআউটে দাঁড়াবেন বিশ্বের সেরা দুই কোচ কার্লো আনচেলত্তি এবং পেপ গার্দিওলা। রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানচেস্টার সিটিকে ফাইনালে তোলার মন্ত্র নিয়েই নিজেদের কৌশলের ঝাঁপি খুলে বসবেন তাঁরা। তাই রিয়াল-সিটির এই লড়াই দুই মায়েস্ত্রোরও।
একদিকে মাস্টার ট্যাকটিশিয়ান গার্দিওলা, অন্যদিকে কিছুটা শান্তভাবে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে আঙুলের ইশারায় দৃশ্যপট পাল্টে দেওয়া কার্লো আনচেলত্তি। আজ রাতে কার কৌশল কাজে লাগবে? চ্যাম্পিয়নস লিগে গার্দিওলা কি পারবেন গত মৌসুমের হারের প্রতিশোধ নিতে? নাকি আবারও দেখা মিলবে আনচেলত্তির চেনা দাপটের।
আনচেলত্তির অব্যর্থ মন্ত্র
সাম্প্রতিক সময়ে আনচেলত্তি ইংলিশ ক্লাবগুলোকে হারানোর বিশেষ কোনো মন্ত্র যেন গিলে খেয়েছেন। গত মৌসুমে ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের পথে রিয়াল হারিয়েছিল চেলসি, ম্যান সিটি ও লিভারপুলকে। এবার উল্টো ক্রমে লিভারপুল এবং চেলসিকে এরই মধ্যে হারিয়েছে তারা। এখন বাকি আছে শুধু ম্যান সিটি। গার্দিওলার দলকে হারালেই আরেকটি বৃত্ত পূরণ হবে রিয়ালের।
সিটির বিপক্ষে গত মৌসুমে তরি পার করার কাজটা খুব সহজ হয়নি রিয়ালের। দুটি ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে সিটি। যেখানে প্রথম লেগে ৪-৩ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় লেগের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল সিটি। কিন্তু ম্যাচের রূপ বদলে যায় শেষ মুহূর্তে গিয়ে। দুই গোল করে প্রথমে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে গোল করে বাজিমাত করেন বেনজেমা।
ম্যাচে আনচেলত্তির প্রধান দুই অস্ত্রের কথা বললে, শুরুতে বলতে হবে করিম বেনজেমা এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কথা। সিটির জন্যও সবচেয়ে বড় হুমকি এ দুজনকে প্রস্তুত রাখবেন আনচেলত্তি। বেনজেমা একই সঙ্গে গোল করা, বলের নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং অ্যাসিস্ট করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। গত মৌসুমে রিয়ালের জয়ের অন্যতম নায়কও ছিলেন বেনজেমা। আর ভিনি গতির দ্যুতিতে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করার পাশাপাশি যেকোনো শক্তিশালী ডিফেন্সকে একাই গুঁড়িয়ে দিতে পারেন। উইংয়ে তাঁকে দিয়ে সিটিকে এলোমেলো করে দেওয়ার কৌশল সাজাবেন আনচেলত্তি। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে বেনজেমাকে পাঁচটি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন।
এ মৌসুমেও ভিনি দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন বেনজেমাকে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষেও ভিনি হবেন আনচেলত্তির বড় অস্ত্র। ফেব্রুয়ারিতেই ভিনিসিয়ুসের ব্যাপারে এই ইতালিয়ান কোচ বলেছিলেন, ভিনি বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় ফল নির্ধারণকারী খেলোয়াড়।
বেনজেমা–ভিনির প্রশংসার তোড়ে রদ্রিগোকে ভুলে গেলে অবশ্য চলবে না। নিজের দিনে বিশ্বের যেকোনো দলকে একাই নাকানিচুবানি খাওয়াতে পারেন এই ব্রাজিলিয়ান। ২০১৯-২০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে রদ্রিগোর অভিষেকের পর একমাত্র করিম বেনজেমা (৩০) তাঁর চেয়ে বেশি গোল করেছেন। রদ্রিগোর গোলসংখ্যা ১৫।
পাশাপাশি এটাও বলে রাখা ভালো যে শুরু থেকে রদ্রিগো অনেক কম সময় খেলেছেন। এরপরও রদ্রিগো চ্যাম্পিয়নস লিগে লা লিগার (১২) চেয়ে বেশি গোল করেছেন। শেষ আটে চেলসির বিপক্ষে জোড়া গোলের পর রদ্রিগো বলেছিলেন, ‘আমি আসলে ব্যাখা করতে পারব না, চ্যাম্পিয়নস লিগ আমাদের কতটা অনুপ্রাণিত করে। তবে এটা খুবই বিশেষ একটা মঞ্চ আমার জন্য।’
বেনজেমা–ভিনির প্রশংসার তোড়ে রদ্রিগোকে ভুলে গেলে অবশ্য চলবে না। নিজের দিনে বিশ্বের যেকোনো দলকে একাই নাকানিচুবানি খাওয়াতে পারেন এই ব্রাজিলিয়ান।
এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন পর্যন্ত পাঁচটি গোল করেছেন রদ্রিগো। আর রদ্রিগোর ঝাঁজ তো গত মৌসুমেই বুঝেছে সিটি। দ্বিতীয় লেগে তাঁর জোড়া গোলই মূলত ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছিল। এবারও আনচেলত্তির তুরুপের তাস হতে পারেন এই ফরোয়ার্ড। নিজের পজিশনিং দিয়ে প্রতিপক্ষের সেন্টার ব্যাককে নিজের জায়গা থেকে বের করে আনতে পারেন রদ্রিগো, যা দলের অন্য ফরোয়ার্ডদের জন্য ফাঁকা জায়গা তৈরি করে দেয়।
চেলসির বিপক্ষে এই কৌশলে দারুণ ফল পেয়েছিল রিয়াল। সিটির বিপক্ষেও তাঁকে দিয়ে এই কাজ করাতে পারেন আনচেলত্তি। রদ্রিগোর আরেকটি বড় শক্তি বৈচিত্র্য। মাঠের যেকোনো পজিশনে খেলার সক্ষমতা আছে তাঁর। চলতি মৌসুমে চোটের কারণে বেনজেমা যখন ছিলেন না, তখন রদ্রিগোকে সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলিয়েছেন আনচেলত্তি। আজ রাতেও রদ্রিগোকে নিয়ে আনচেলত্তি কোনো বাজি ধরেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
এ ছাড়া কাউন্টার অ্যাটাকে রিয়াল বরাবর ভয়ঙ্কর। সিটির বিপক্ষে পজিশনিংয়ে সুবিধা করতে না পারলে কাউন্টার অ্যাটাকে অতিথিদের আটকে দিতে চাইবেন এই ইতালিয়ান কোচ।
শুধু প্রতিপক্ষের ডি-বক্সেই নয়, নিজেদের ডি-বক্সেও ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড় আছে রিয়ালের। বলা হচ্ছে, বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার কথা। বড় মঞ্চে কোর্তোয়া রীতিমতো অনবদ্য। গত মৌসুমের ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে দারুণ সব গোল বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। সেদিন ৯টি গোল বাঁচিয়েছিলেন কোর্তোয়া, যা ২০০২-০৩ মৌসুমের পর সর্বোচ্চ ছিল। এ মৌসুমেও গোলপোস্টের নিচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন কোর্তোয়া। এখন পর্যন্ত তাঁর চেয়ে বেশি সেভ করেছেন শুধু ইন্টার মিলানের আন্দ্রে ওনানা।
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে গার্দিওলার সবচেয়ে বড় অস্ত্রদের একজন হবেন কেভিন ডি ব্রুইনা। কিন্তু এখানেও বড় সুবিধা পেতে পারেন কোর্তোয়া। বেলজিয়ান সতীর্থের গতিবিধির অনেকটাই জানা আছে এই গোলরক্ষকের, যা বিশেষ সুবিধা দিতে পারে রিয়ালকে।
রিয়ালের এত সব সুবিধা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে অবিশ্বাস্য ফলের পরও বর্তমানে পরিসংখ্যানগত মডেলগুলো সিটির পক্ষেই বাজি ধরছে, যেখানে সিটির ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা ৬৯ শতাংশ। তবে বাস্তবতা বলছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদ নামটিই বাড়তি সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়। আর এটিই সিটির বড় শঙ্কা।
গার্দিওলা ক্ষুরধার মস্তিষ্ক
ম্যান সিটির জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগ এক মহাদুঃখ হয়ে আছে। গার্দিওলার অধীনে সিটি নকআউট পর্বের প্রতিটি ধাপে হেরেছে। কিন্তু সব দুঃখের গল্পই কখনো না কখনো শেষ হয়। এবার কি তাহলে আসবে সেই ক্ষণ? সিটির সামনে সুযোগ আছে ঐতিহাসিক ট্রেবল জেতারও। সব মিলিয়ে ইউরোপসেরা হওয়ার এমন সুবর্ণ উপলক্ষ হয়তো সিটির সামনে আর আসবে না।
বল পায়ে সিটির সামর্থ্যের কথা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু এ মৌসুমে বলের দখল ছাড়া সিটি অসাধারণ পারফরম্যান্সও দেখিয়েছে, যা চলতি মৌসুমে তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিও গড়ে দিয়েছে। প্রেসিংয়ে এ মৌসুমে সিটি অবিশ্বাস্য দক্ষতা দেখিয়েছে। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করেও এবার দারুণ ফল বের করে আনছেন গার্দিওলা। সবশেষ আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে হলান্ড এবং ডি ব্রুইনাকে যেভাবে পজিশন বদলে ব্যবহার করেছেন, তা ছিল দুর্দান্ত।
ম্যাচের মধ্যেই কৌশল বদলে দলকে খেলিয়েও চমক দেখিয়েছেন গার্দিওলা। উইংকে ব্যবহার করছেন চমৎকারভাবে। ম্যাচের মান বিবেচনায় খেলোয়াড়দের স্থায়ী অবস্থানও বদলে দিচ্ছেন গার্দিওলা। যেমন ম্যানুয়েল আকাঞ্জি প্রথম লেফটব্যাক হিসেবে খেলে আর্সেনালের বিপক্ষে ফল এনে দিয়েছেন। জ্যাক গ্রিলিশকেও অবস্থান বদলে খেলিয়ে ইতিবাচক ফল এনে দিয়েছেন গার্দিওলা।
বায়ার্ন ম্যাচে দায়োত উপামেকানোকে প্রেসে গুঁড়িয়ে দিয়ে গোল আদায় করার দৃশ্যটি এ মৌসুমে সিটির আক্রমণের তীব্রতাকে তুলে ধরে। এমন সব প্রচেষ্টা আজ রাতের ম্যাচেও দেখা যেতে পারে। বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচটিতে সিটির খেলোয়াড়েরা বায়ার্ন খেলোয়াড়দের পা থেকে ১৫ বার বল কেড়ে নিয়েছিলেন, যা এ মৌসুমে সর্বোচ্চ।
তবে রিয়ালের বিপক্ষে সিটি যদি হাই প্রেসিং করতে চায়, তাহলে বিপদেও পড়তে পারে। চেলসি যেমন তাদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রেসিংয়ের কৌশল অবলম্বন করে নিজেদের বিপদ বাড়িয়েছিল। একই সঙ্গে প্রকৃত ফুলব্যাক না থাকাও গার্দিওলার দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। যেখানে রক্ষণে মূল শক্তি দলের তিন সেন্টারব্যাক। তাই ভিনিসিয়ুসকে সামলাতে কিছুটা আলাদা পরিকল্পনাই লাগবে গার্দিওলার।
গার্দিওলা সাধারণত ম্যাচের প্রতিটি ধাপকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পছন্দ করেন। বেশির ভাগ সময়ই বলের দখল নিজেদের কাছে রাখতে চান এই স্প্যানিশ কোচ। শেষ আটে যেসব দল খেলেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলের দখলও ছিল সিটির (৬১.৪ শতাংশ)। রিয়ালের বিপক্ষেও একই কাজ করতে চাইবে ইতিহাদের ক্লাবটি। তবে রিয়ালের বিপক্ষে কাজটা একটু জটিল হতে পারে। যারা খুব দ্রুত পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে এবং বলের দখল না থাকলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে পারে।
তবে এখানেও গার্দিওলা নিজেদের বৈচিত্র্যময় কৌশলকে কাজে লাগাতে পারেন। চারজন সেন্টারব্যাক রেখে আক্রমণে পাঁচজনকে রাখতে পারেন। যেখানে দুইজন উইঙ্গার, দুইজন নাম্বার টেন এবং একজনকে ‘নাম্বার নাইন’ হিসেবে খেলাতে পারেন সিটি কোচ। নকআউট ম্যাচে সিটির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা অস্থির সময়ে তাল রাখতে না পারা।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যখন লড়াই হাড্ডাহাড্ডি রূপ নেয়, তখন তাল হারিয়ে ফেলে তারা। যদিও এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত তেমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি সিটিকে।
রিয়ালের বিপক্ষে সিটির সবচেয়ে বড় তুরুপের তাস আর্লিং হলান্ড। এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ গোল করা এই স্ট্রাইকার একাই ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন।
গত মৌসুমের সিটির সঙ্গে এ মৌসুমের সিটি যে জায়গায় পার্থক্যটা তৈরি করেছে, সেটি হলান্ড। প্রতিপক্ষের সব পরিকল্পনা ও কৌশল একাই নস্যাৎ করে দিতে পারেন একের পর এক রেকর্ড ভাঙা এ নরওয়েজীয় তারকা। সিটিকে রিয়াল–বাধা টপকাতে হলে দলীয় ঐক্যের পাশাপাশি হলান্ডের সেরাটা পাওয়াও জরুরি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১২ গোল করেছেন হলান্ড।
প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়াড়দের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন হলান্ড। ২০০২-০৩ মৌসুমে রুদ ফন নিস্টলরয় রয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১২ গোল করেছিলেন। এখন সিটি সমর্থকেরা চাইবে হলান্ড যেন রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই সে রেকর্ড টপকে যান।
প্রতিপক্ষের সব পরিকল্পনা ও কৌশল একাই নস্যাৎ করে দিতে পারেন এই নরওয়েজীয় তারকা। সিটিকে রিয়াল–বাধা টপকাতে হলে দলীয় ঐক্যের পাশাপাশি হলান্ডের সেরাটা পাওয়াও জরুরি।
এই ম্যাচে সিটি বাতাসেও বিশেষ সুবিধা পেতে পারে। তিন সেন্টারব্যাকের উচ্চতা কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে সিটিকে। যেখানে জন স্টোনের উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি, রুবেন দিয়াজের ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং ম্যানুয়াল আকাঞ্জির ৬ ফুট ১ ইঞ্চি। এই উচ্চতাকে সেট পিসে দারুণভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ আছে সিটির। যে চারটি দল সেমিফাইনালে খেলছে, তাদের ভেতর সিটি সেট পিস থেকে সবচেয়ে বেশি ৬টি গোল করেছে তারা।
শেষ পর্যন্ত কৌশল কিংবা পরিকল্পনায় দুই দলের মধ্যে পার্থক্যটা গড়ে দিতে পারে। পাশাপাশি দিন শেষে কে কীভাবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে এবং ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছে, সেটাই হতে পারে মূল ক্রীড়নক।