পুসকাসকে টপকে রিয়ালের সবচেয়ে ‘বুড়ো’ মদরিচ

রিয়ালের হয়ে নতুন মাইলফলক গড়লেন লুকা মদরিচরয়টার্স

‘ম্যাজিক্যাল মদরিচ’—সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ৬৬ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে দেওয়া রক্ষণচেরা পাসটা দেখার পর অনেকেরই হয়তো এ কথাই মনে হচ্ছিল। পাসটি দেওয়ার সময় মদরিচ ভেঙেছেন প্রতিপক্ষের ৮ খেলোয়াড়ের গড়া ফাঁদ। তাঁর নিঁখুত পাসটি সহজেই খুঁজে নেয় ভিনিসিয়ুসকে।

বাকি কাজটা সাবলীলভাবেই করেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। মদরিচ নিয়ে লেখার জন্য রিয়ালকে ২–১ গোলে জেতাতে সহায়তা করা এই পাসটিই যথেষ্ট ছিল। ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো একটি পাসই যে দিয়েছেন তিনি!

রিয়ালকে ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি গতকাল রাতে মদরিচ আরেকটি তালিকায়ও শীর্ষে উঠেছেন। কাল রাতে মাঠে নেমেই রিয়ালের একটি রেকর্ড গড়েছেন। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির হয়ে খেলা সর্বোচ্চ বয়সের ফুটবলার হয়ে গেছেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।

আরও পড়ুন

এই মাইলফলকটি গড়ার পথে তিনি টপকে গেছেন হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। ১৯৬৬ সালে ৩৯ বছর ৩৬ দিন বয়সে মাঠে নেমে রিয়ালের সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হয়েছিলেন পুসকাস।

ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে মদরিচের গোল উদ্‌যাপন
রয়টার্স

গতকাল মাঠে নামার সময় মদরিচের বয়স ছিল ৩৯ বছর ৪০ দিন। অর্থাৎ রিয়ালের সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হওয়ার পথে মদরিচ ভেঙেছেন ৫৮ বছরের পুরোনো রেকর্ড। সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মদরিচ বলেছেন, ‘আমি নিজের বয়স মনে করতে পছন্দ করি না। কিন্তু এটা দারুণ ব্যাপার। রিয়ালের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হয়ে আমি গর্বিত।’

শুধু এটুকুই নয়, গতকাল সেল্তাকে হারিয়ে লা লিগায় ৩৬৯ ম্যাচে নিজের ২৫০তম জয়ও নিশ্চিত করেছেন মদরিচ। মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা মদরিচ লিগে সব মিলিয়ে করেছেন ২৮ গোল এবং জিতেছেন চারটি লিগ শিরোপাও (২০১৭, ২০২০, ২০২২ ও ২০২৪ সালে)।

আরও পড়ুন

রিয়ালে প্রায় এক যুগ কাটানো মদরিচ ক্লাবটির সফলতম খেলোয়াড়দের একজনও বটে। ২০১২ সালে মাদ্রিদের ক্লাবটিতে নাম লেখানোর পর ৫৪৭ ম্যাচে ২৭টি শিরোপা জিতেছেন তিনি, যার মধ্যে ৭টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৪টি ক্লাব বিশ্বকাপ, ৫টি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, ৪টি লা লিগা, ২টি স্প্যানিশ কাপ ও ৫টি স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা রয়েছে।

রিয়ালের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার