‘কচিকাঁচা’দের সুযোগ দেওয়ায় এগিয়ে বার্সেলোনা, ধারেকাছে নেই রিয়াল–সিটি
প্রতি মৌসুমেই ফুটবল মঞ্চে প্রতিভার ঝলকানি নিয়ে আবির্ভূত হয় একাধিক তরুণ ফুটবলার। শীর্ষ ক্লাবগুলোর পাশাপাশি নিচের দিকের দলগুলোতেও শোনা যায় তরুণদের আগমনী বার্তা। উদীয়মান এই ফুটবলারদের তৈরি করা হয় মূলত ভবিষ্যতের জন্য। কোনো কোনো ক্লাবে সেই তরুণ ফুটবলাররাই একসময় হয়ে ওঠে মহীরুহ।
বার্সেলোনা যেমন একসময় লিওনেল মেসি-জাভি হার্নান্দেস-আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের নিয়ে এসেছিল নিজেদের একাডেমি ‘লা মাসিয়া’ থেকে, যাঁরা পরবর্তী সময়ে ক্লাবের সর্বকালের সেরার কাতারে নাম লেখান। কিছু ক্লাব অবশ্য তরুণদের তৈরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে। প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ম্যাচটাইম দিয়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ফুটবল বিশ্বে। এরপর পরাশক্তিগুলো উচ্চ দামে কিনে নেয় সেই খেলোয়াড়দের।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী তরুণদের সুযোগ দেওয়ায় কারা এগিয়ে, তা নিয়ে বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডের ফুটবল পরিসংখ্যানভিত্তিক স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্টস স্টাডিজ (সিআইইএস)। তাদের হিসাবে দেখা গেছে, বৈশ্বিকভাবে অনূর্ধ্ব ২১ বছর বয়সীদের সুযোগ দেওয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে পূর্ব ইউরোপের দুটি ক্লাব—ইউক্রেনের রুখ এলভিভ ও স্লোভাকিয়ার ক্লাব এমএসকে জিলিনা।
এই দুই ক্লাবের অনূর্ধ্ব ২১ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া মিনিট যথাক্রমে ৫২.৪ শতাংশ ও ৪৪.৫ শতাংশ। অবাক করার মতো ব্যাপার হলো, এ তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের কোনো ক্লাব নেই। ১১ নম্বরে আছে ফরাসি ক্লাব স্ত্রাসবুর্গ। ‘কচিকাঁচা’দের এ ক্লাবের দেওয়া মিনিটের হার ২৬.৮।
ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অলিম্পিক লিওঁ। ক্লাবটি ২৩.২ শতাংশ মিনিট সময় দিয়েছে তরুণদের। সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের সুযোগ দিয়ে বেশ আলোচনায় আছে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা।
এরই মধ্যে বার্সার হয়ে লামিনে ইয়ামাল, পাউ কুবারসি ও ভিতর রকির মতো কৈশোরের বৃত্তে থাকা খেলোয়াড়েরা সুযোগ পেয়েছেন। বার্সা এই তরুণদের যে সুযোগ দিয়েছে, তা মিনিটের হারে ২২.০। তবে অনূর্ধ্ব-২০ বিবেচনা করলে সবার ওপরে থাকবে বার্সাই (১৫.০ শতাংশ)।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দুই ক্লাব হচ্ছে ইংল্যান্ডের ব্রাইটন (১৬.৫) ও স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া (১৫.৬)। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে এ তালিকার ১১ ও ১২ নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (১১.৮) ও চেলসি (১১.১)। ১৬ নম্বরে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের মিনিটের হার ১০.১। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের দেওয়া মিনিট ৮.২ শতাংশ, লিভারপুলের ৪.৭ এবং ম্যানচেস্টার সিটির ২.৯ শতাংশ।