২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ম্যাচের ৪০ সেকেন্ডে মাথায় আঘাত পেয়ে কোমায় হুন্ডুরাস ফুটবলার

বোর্দো স্ট্রাইকার আলবার্ট এলিসএক্স

ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগে শনিবার গেঁ গাঁর মুখোমুখি হয়েছিল বোর্দো। ম্যাচে ৪০ সেকেন্ডে একটি ক্রস ধরতে গিয়ে গেঁ গাঁ ডিফেন্ডার দোনাশিয়েন গোমিসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান বোর্দো স্ট্রাইকার আলবার্ট এলিস। আঘাত এতই মারাত্মক যে গতকাল হাসপাতালে কোমায় চলে গেছেন ২৮ বছর বয়সী ফুটবলার। আলবার্টের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো (শ্বাসপ্রশ্বাসের হার, তাপমাত্রা, রক্তচাপ, নাড়ির গতি) নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ‘অসম্ভব’ বলে জানিয়েছে বোর্দো।

আরও পড়ুন

গোমিস দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলেও এলিস অচেতন ছিলেন। মাঠে তাঁকে কয়েক মিনিট প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার করা হয়। বোর্দোর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আলবার্ট মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে কোমায় চলে গিয়েছে। আমরা আগামী দিনগুলোয় হাসপাতালে তার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখব। এই মুহূর্তে আলবার্টের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো নিয়ে মন্তব্য করা অসম্ভব।’

ক্লাবটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এলিসের সতীর্থ এবং কোচিং স্টাফকে ‘এই কঠিন সময়ে’ সাহায্য করতে মনোবিদদের দল গঠন করা হবে। এলিসের আঘাত পেয়ে কোমায় চলে যাওয়া তাঁর সতীর্থ এবং অন্যদের জন্য মানসিকভাবে বেশ বড় আঘাত। ২০১৪ সালে হুন্ডুরাস জাতীয় দলে অভিষিক্ত এলিস দেশের হয়ে ৬০ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন। হুন্ডুরাস জাতীয় দলের পক্ষ থেকেও এলিসের সুস্থতা কামনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ পোস্ট করা হয়।

স্ট্রেচারে করে এলিসকে মাঠের বাইরে নেওয়া হয়
এক্স

‘লা পানতেরিতা’ (খুদে চিতা) নামে জাতীয় দলে খ্যাতি পাওয়া এলিসকে নিয়ে পোস্টে বলা হয়, ‘শক্তি এবং সাহস তোমার সঙ্গে আছে আলবার্ট এলিস...পানতেরিতা, তুমি একজন যোদ্ধা যে জানে কীভাবে লড়তে হয়। হুন্ডুরাস তোমার সঙ্গে আছে।’

আরও পড়ুন

এলিসের কোমায় চলে যাওয়া নাড়িয়ে দিয়েছে ফুটবল-বিশ্বকে। কিলিয়ান এমবাপ্পে থেকে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সুস্থতা কামনা করে পোস্ট করেছেন। এলিসের জাতীয় দল সতীর্থ লুইস পালমা গতকাল মাদারওয়েলের বিপক্ষে গোল করে সেল্টিকের জার্সি খুলে ভেতরের গেঞ্জিতে লেখা বার্তা দেখান, ‘শক্তি রাখো এলিস।’গেঁ গাঁর বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় এলিসকেও উৎসর্গ করেছে বোর্দো।

এলিসের চোটের আগেও এমন আঘাত দেখা গেছে মাঠে। চলতি মৌসুমের শুরুতে লিগ আঁ-তে লিঁল-রিম ম্যাচে স্যামুয়েল উমতিতির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জাপানের জুনায়া ইতোর। ২০২২ সালে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচে বার্সেলোনা সতীর্থ গাভির সঙ্গে সংর্ঘষের কারণে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল রোনাল্ড আরাউহোকে।

২০০৬ সালে চেলসির সাবেক গোলকিপার পিওতর চেকের আঘাতটিও ভীষণ মারাত্মক ছিল। রিডিংয়ের এক খেলোয়াড়ের হাঁটু তাঁর মুখে আঘাত হেনেছিল, মাঠের বাইরে নিয়ে চেককে চিকিৎসা দেওয়ার পর হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল। এরপর ক্যারিয়ারের বাকি সময়ে তিনি মাথায় ‘প্রোটেকশন’ নিয়ে খেলেছেন।

আরও পড়ুন