যে ৩ কারণে বার্সার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন নিকো উইলিয়ামস

বার্সাকে না করে দিয়েছেন নিকো উইলিয়ামস নিজেইইনস্টাগ্রাম

আজ রাতে লা লিগায় মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাও। এই ম্যাচে ২২ জন খেলোয়াড় যখন মাঠে আসবেন, নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে নিকো উইলিয়ামসের ওপর। যিনি মূলত বিলবাওয়ের হয়ে লড়বেন বার্সার বিপক্ষে। অথচ এই চিত্রটা উল্টোও হতে পারত।

উইলিয়ামসকে দেখা যেতে পারত বার্সার জার্সিতে। দলবদলের শুরু থেকে বার্সায় আসার পথে এগিয়ে ছিলেন উইলিয়ামস। একপর্যায়ে তাঁর বার্সায় আসা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল, কিন্তু দ্রুতই বদলে গেছে দৃশ্যপট। বার্সার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো জানিয়েছেন, উইলিয়ামস নিজেই নাকি বার্সাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন?

আরও পড়ুন

ইউরো দিয়েই মূলত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন উইলিয়ামস। উইং ধরে আক্রমণে গিয়ে প্রতিপক্ষের নাভিশ্বাস তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। বিশেষ করে আরেক উইঙ্গার লামিনে ইয়ামালের সঙ্গে জুটি গড়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে রীতিমতো ত্রাস ছড়াতে দেখা গেছে তাঁকে। স্পেনের জার্সিতে এমন পারফরম্যান্স দেখে উইলিয়ামসকে দলে ভেড়ানোর উদ্যোগ নেয় বার্সা। কারণ, একই চিত্র তারা বার্সাতেও দেখতে চেয়েছিল।

এমনকি উইলিয়ামসের ৫ কোটি ৮০ লাখ ইউরোর রিলিজ ক্লজও বাধা হবে না বলে সেই সময় মন্তব্য করেন বার্সা প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তা। এর মধ্যে অবশ্য বার্সার দ্বিগুণ অর্থ প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয় পিএসজিও। শুরু হয় দুই দলের লড়াই। যদিও এখন পর্যন্ত কোথাও যোগ দেননি উইলিয়ামস, আছেন বিলবাওতেই।

ইউরোতে আলো ছড়ান নিকো উইলিয়ামস
উয়েফা

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস উইলিয়ামসের বার্সায় না যাওয়ার কিছু কারণ সামনে এনেছে। ক্লাবটির প্রতি তাঁর আনুগত্যের বিষয়টি তো আছেই, পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় ভূমিকা রেখেছে উইলিয়ামসের থেকে যাওয়ায়। একই ক্লাবে তাঁর ভাই ইনাকি উইলিয়ামসও খেলেন। এএস জানিয়েছে, ভাই এবং পরিবার উইলিয়ামসকে বিলবাওয়ে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেছে।

এখানেও অবশ্য সেই আনুগত্যের বিষয়টিই হয়তো কাজ করেছে। ওসাসুনা থেকে ২০১৩ সালে অ্যাথলেটিকের একাডেমিতে যোগ দেন উইলিয়ামস। এরপর ক্লাবটির আলো–ছায়াতেই বেড়ে ওঠেন ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ফলে সেই ক্লাবের প্রতি দায় থেকেই হয়তো আর কিছু সময় থেকে যেতে চান এই উইঙ্গার।

আরও পড়ুন

ধারণা করা হচ্ছিল, উইলিয়ামসের বিলবাও ছাড়তে চাওয়ার একটি বড় কারণ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলা। বিলবাও ইউরোপা লিগে সুযোগ পাওয়ায় সেই স্বপ্নও পূরণ হবে তাঁর। এ ছাড়া ২০২৪–২৫ মৌসুমের ইউরোপা লিগের ফাইনালও হবে বিলবাওয়ের মাঠ সান মামেসে। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি উইলিয়ামস।

উইলিয়ামসের বার্সায় না যাওয়ার আরেকটি বড় কারণ ক্লাবটিতে খেলোয়াড় নিবন্ধন নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা। উইলিয়ামস দলবদলে বার্সায় গেলেও তাঁর খেলতে পারার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। একই কারণে দানি ওলমো ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি। সব মিলিয়ে ওপরের তিন কারণই হয়তো বার্সায় আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেছে উইলিয়ামসকে।