বার্সা–পরীক্ষার আগে বদলি এমবাপ্পেই পিএসজির ত্রাতা
আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে পিএসজি। সে ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হচ্ছিল ক্লেরমঁর বিপক্ষে লিগ ‘আঁ’তে পিএসজির ম্যাচটিকে। তবে এ ম্যাচেও যথারীতি কিলিয়ান এমবাপ্পেকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান কোচ লুইস এনরিকে।
এই ম্যাচে ১৭ বছর বয়সী দুই ফুটবলার ইয়ুরাম জাগুয়ে এবং সেনি মায়ুলুকে একাদশে সুযোগ দেন পিএসজির স্প্যানিশ কোচ। এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে জাগুয়ের, আর মায়ুলু প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন মূল একাদশে। পাশাপাশি এদিন পিএসজির গোলবার সামলেছেন তৃতীয় গোলরক্ষক আরনাউ তেনাস।
ধারণা করা হচ্ছে, বার্সেলোনার ম্যাচ সামনে রেখে এমবাপ্পেসহ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে গিয়ে এ পথে হেঁটেছেন এনরিকে। তবে একাদশ নিয়ে এমন পরীক্ষা–নিরীক্ষার রাতে কোনোরকমে হার এড়ানো পিএসজি ১–১ গোলে ড্র করেছে। এই ড্রয়েও মূলত বড় অবদান বদলি নামা এমবাপ্পের। তাঁর দুর্দান্ত এক অ্যাসিস্টেই ম্যাচের ৮৫ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন গনসালো রামোস। এর আগে ম্যাচের ৩২ মিনিটে ক্লেরমঁকে এগিয়ে দেন হাবিব কেইটা।
এমবাপ্পের পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই মূলত ঘরোয়া লিগে তাঁকে হয় বদলি করেন, না হয় বদলি হিসেবে খেলান এনরিকে। সর্বশেষ ৮ লিগ ম্যাচের মাত্র একটিতেই পুরো ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছেন এমবাপ্পে। এর আগে ম্যাচে পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় কোচের কাছে গিয়ে এমবাপ্পের ক্ষোভ প্রকাশের খবরও সামনে আসে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও।
এমবাপ্পেকে ছাড়া খেলতে দলকে অভ্যস্ত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান এ স্প্যানিশ কোচ। পাশাপাশি বারবার এমবাপ্পেকে নিয়ে প্রশ্ন করায় নিজের বিরক্তির কথাও বলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য লিগ ম্যাচে এমবাপ্পেকে নিয়ে নিজের অবস্থান বদলাননি এনরিকে। গতকাল রাতেও হেঁটেছেন একই পথে। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে হার থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন হয়েছে এমবাপ্পেক। তাঁর পাস থেকেই গোল করেন রামোস।
ম্যাচ শেষে এনরিকে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা পেশাদার। আমরা এখন দারুণ ছন্দে আছি।’ এ ম্যাচে এমবাপ্পেকে একাদশে না রাখা এবং দুই কিশোরের অভিষেক নিয়ে এনরিকের বলেছে, ‘আমার লক্ষ্য ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক একাদশ গড়া।’