কম্বোডিয়া থেকে কখনো খালি হাতে ফিরতে হয়নি বাংলাদেশ ফুটবল দলকে। ব্যতিক্রম নয় এবারও। টানা তৃতীয়বারের মতো কম্বোডিয়াকে তাদেরই মাঠে হারিয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। ব্যবধান ১-০।
নমপেনে আজ ফিফা প্রীতি ম্যাচে দুদলের পার্থক্য গড়ে দেন বাংলাদেশ দলের তরুণ মিডফিল্ডার মজিবর রহমান (জনি)। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফর্টিস এফসির হয়ে খেলা মজিবর জাতীয় দলের হয়ে এই নিয়ে খেললেন তৃতীয় ম্যাচ। গোল পেলেন এই প্রথম। তাঁর সেই প্রথম গোলেই কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
২৪ মিনিটে ডান দিক থেকে কম্বোডিয়ার বক্সে ফয়সাল আহমেদের বাতাসে ভেসে আসা লম্বা ক্রস বাঁ পায়ের ভলিতে জালে পাঠান মজিবর। অনেকটা ফাঁকা জমি পাওয়ায় মজিবর বলের নিচে নিজেকে নিয়ে তারপর কাজটা সেরেছেন পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে। মূল্যবান সেই গোল ধরে রেখেই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জিতলেও বল পজেশন ও আক্রমণে দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিক কম্বোডিয়া। প্রথম মিনিটেই তারা দুটি কর্নার পেয়েছে। ম্যাচ যত গড়িয়েছে, পরিকল্পিত আক্রমণও করেছে কম্বোডিয়া। কিন্তু কখনো নিজেরা এলোমেলো শট নিয়ে সুযোগ নষ্ট করেছে, কখনো বাংলাদেশ গোলকিপার আনিসুর রহমান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ৩৮ মিনিটে আনিসুর আটকেছেন দূরপাল্লার একটি শট। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে টানা তৃতীয় হারের হতাশা নিয়ে নমপেনের অলিম্পিক স্টেডিয়াম ছেড়েছে স্বাগতিক দল।
কম্বোডিয়া জয় করেই বাংলাদেশ দল নমপেন থেকে আগামীকাল ভারতে যাচ্ছে। ২১ জুন বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে পাওয়া আজকের জয় জামাল ভূঁইয়াদের কিছুটা হলেও উজ্জ্বীবিত করবে।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ, অন্য ম্যাচটি ড্র। সর্বশেষ তিন ম্যাচেই জয়। যার প্রথমটি ২০১৯ সালের মার্চে ফিফা প্রীতি ম্যাচ। দ্বিতীয়টি গত বছর সেপ্টেম্বরে। তৃতীয়টি এসেছে আজ। তিনটি ম্যাচই জয়ের ব্যবধান একই, ১-০। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোল করতে পারেনি কম্বোডিয়া। যদিও দলটির বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিং ১৭৬, বাংলাদেশের ১৯২।
বাংলাদেশে একাদশ: আনিসুর রহমান (গোলরক্ষক), বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, ফয়সাল আহমেদ, জামাল ভূঁইয়া, আলমগীর মোল্লা, সোহেল রানা, মজিবর রহমান, মেহেদী হাসান, সোহেল রানা ও সুমন রেজা।