৬২ হাজার ৯১১ কোটি টাকার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে দামি
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বিক্রির চেষ্টা করছে মালিকপক্ষ গ্লেজার পরিবার। তবে যুক্তরাস্ট্রের এই ধনকুবের পরিবারটি জেনে খুশি হতে পারে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে দামি ক্লাব। খেলাধুলার আর্থিক বিষয়াদি ও ব্যবসা–বাণিজ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠান ‘স্পোর্টিকো’ সাম্প্রতিক সময়ে জরিপে তথ্যটি প্রকাশ করেছে। গতবারের মতো এবারও দামে বাকি ক্লাবগুলোকে টেক্কা দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
স্পোর্টিকোর হিসেব অনুযায়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দাম ৪.৮ বিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬২ হাজার ৯১১ কোটি টাকা)। মাঠে সেভাবে ভালো করতে না পারলেও মাত্র ২ বছরের মধ্যে ২৮ শতাংশ দাম বেড়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে সফল ক্লাবটির। এই তালিকায় দ্বিতীয় লিভারপুল দামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ১ বিলিয়ন পাউন্ড পিছিয়ে। ৩.৮ বিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৯ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা) দাম নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল।
ম্যানচেস্টার সিটির দাম ৩.৫ বিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা)। দামে তৃতীয় পেপ গার্দিওলার দল। ২.৯ বিলিয়ন পাউন্ড দাম নিয়ে চারে আর্সেনাল ও ২.৮ বিলিয়ন পাউন্ড দাম ওঠা চেলসি পাঁচে। তবে এ মৌসুমে ক্লাবগুলোর মাঠের পারফরম্যান্স দেখলে দামের এই তালিকা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। লিগ টেবিলের শীর্ষে আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, নিউক্যাসল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ।
ইংলিশ ফুটবলে ম্যানচেস্টার অনেকদিন ধরেই সবচেয়ে দামি ক্লাব এবং এবারও মুকুটটি ধরে রাখল প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ২০ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ক্লাবটি। ২০২১ সালের অক্টোবরে সৌদি কনসোর্টিয়ামের অধীনে চলে আসা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সেটি ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে করা হিসেবে। এ সময় ৬৩ শতাংশ দাম বেড়েছে নিউক্যাসলের। ৩৫ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড দাম নিয়ে তালিকার দশে নিউক্যাসল ইউনাইটেড।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ‘ম্যানচেস্টার ইভিনিং নিউজ’ জানিয়েছে, ৬ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৮ বিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে দাম পেলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বেচে দিতে পারে গ্লেজার পরিবার। ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার স্যার জিম র্যাটক্লিফ এর আগে ইউনাইটেড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিক্রির সম্ভাবনা নিয়ে গত মাসে আভরাম গ্লেজার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটি একটি প্রক্রিয়া এবং আমরা সেটাই মেনে চলছি। দেখা যাক সামনে কী হয়। আপাতত বলতে পারি প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অনলাইন’ মনে করছে, মাঠে তেমন ভালো করতে না পারলেও বৈশ্বিক ব্র্যান্ডিংয়ে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এ কারণেই দামে বাকিদের টেক্কা দিয়েছে তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী ক্লাবটি। বিশ্বব্যাপী ক্লাবটির ১০০ কোটির বেশি সমর্থক রয়েছে। ইউনাইটেডেরই প্রতিবেশী ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এদিকটায় খানিকটা পিছিয়ে। আর এ কারণেই প্রিমিয়ার লিগে গত পাঁচ মৌসুমের মধ্যে চারবার শিরোপা জিতেও দামে শীর্ষ দুইয়ে উঠে আসতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি।