৯০ মিনিটে মেসির পাসে এমবাপ্পের গোল, কষ্টে জিতল পিএসজি
ব্রেস্ত ১ : ২ পিএসজি
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের এক সপ্তাহও পার হয়নি। এর মধ্যে আজ লিগে আরেকটি ধাক্কার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল পিএসজি। পয়েন্ট তালিকার ১৫ নম্বর দলের বিপক্ষে সহজে জেতা দূরে থাক, ৮৯ মিনিট পর্যন্ত সমতায় আটকে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কায় ছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
তবে মেসি-এমবাপ্পেতে ভর করে শেষ মুহূর্তে উদ্ধার হয়েছে পিএসজি। ৯০ মিনিটে মেসির পাস থেকে গোল করেছেন এমবাপ্পে। ব্রেস্তের বিপক্ষে পিএসজি জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
এ জয়ে লিগ শিরোপা দৌড়ে আরও এগিয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২৭ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট ৬৬। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্শেইয়ের পয়েন্ট ২৬ ম্যাচে ৫৫।
বায়ার্নের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর দুই লেগ মিলিয়ে একটিও গোল করতে পারেননি মেসি-এমবাপ্পেরা। তবে ফ্রেঞ্চ লিগে দুজনই ছিলেন ছন্দে। তার ওপর প্রতিপক্ষ ব্রেস্ত এমন এক দল, পিএসজিকে যারা সর্বশেষ ২৪ দেখায় হারাতে পারেনি।
এর মধ্যে শেষ ১২টিতেই জিতেছিল পিএসজি। এমন এক দলের কাছেই কিনা পয়েন্ট খোয়ানোর খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল পিএসজি।
শুরুটা ছিল একের পর আক্রমণ দিয়ে। ব্রেস্তকে রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। পিএসজির আক্রমণের তীব্রতায় মনে হচ্ছিল গোল চলে আসবে যে কোনো মুহূর্তে।
এর মধ্যে সপ্তম মিনিটে ব্রেস্ত ডি বক্সে সুবিধামত বল পেয়ে গিয়েছিলেন কার্লোস সোলের। এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের ভলি গোলরক্ষক মার্কো বিজোতের হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। ২৬ মিনিটে এমবাপ্পের শট বেরিয়ে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে।
একাধিক সুযোগ নষ্টের পর প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে। এমবাপ্পের শট ব্রেস্ত গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে পেয়ে যান কাছাকাছি থাকা সোলের। তাঁর জোরালো গতির শট জালে জড়ালে এগিয়ে যায় পিএসজি।
তবে ছয় মিনিট বাদেই সমতা নিয়ে আসে ব্রেস্ত। সের্হিও রামোসকে পাশ কাটিয়ে জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ফরাসি উইঙ্গার ফ্রাঙ্ক অনোরাত।
সমতার প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও একাধিক সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। ৫৫ মিনিটে মেসির ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে যায়। ৬২ মিনিটে মেসির কাছ থেকে পাওয়া বলে শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এমবাপ্পে। মেসির তৈরি করে দেওয়া সবচেয়ে ভালো সুযোগটি নষ্ট করেন নুনো মেন্দেজ। ৭৯ মিনিটে মেসির উঁচু করে বাড়ানো বলে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি তিনি।
ম্যাচ যখন প্রায় সমতায় শেষ হওয়ার কাছাকাছি, তখন দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় পিএসজি। এ ক্ষেত্রে ব্রেস্তের আক্রমণাত্মক মনোভাবেরও প্রভাব আছে।
প্রতি আক্রমণে মেন্দেসের কাছ থেকে বল পেয়ে লম্বা করে এমবাপ্পেকে বাড়ান মেসি। দ্রুত ব্রেস্ত রক্ষণে ঢুকে যাওয়া এমবাপ্পের সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক। তাঁকে কাটিয়ে সহজেই বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। পিএসজি পায় স্বস্তির জয়ের মাধ্যম।