৬৯ বছর পর খোঁজ মিলল আরেক অ্যাশেজের

৬৯ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেছে ফুটবলের এই ভস্মাধারছবি: এএফপি

অ্যাশেজের জন্মকথা কে না জানে!

সেই কবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে শোচনীয়ভাবে হারের পর ইংলিশ ক্রিকেটের ‘মৃত্যু’তে অবিচুয়ারি লিখেছিল একটি পত্রিকা। আর ইংলিশ ক্রিকেটের মৃত্যুর প্রতীক হিসেবে বেল পুড়িয়ে ভস্মাধার পূর্ণ করা করা হয়েছিল। সেই ভস্ম থেকেই তো ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দ্বৈরথটা অ্যাশেজের আগুনে লড়াই হয়ে গেছে।

এবার খোঁজ মিলেছে আরেক অ্যাশেজের। এই অ্যাশেজ ফুটবলের এবং এই অ্যাশেজেও জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার নাম। তবে ইংল্যান্ড নয়, ফুটবলের ভস্মাধারের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ তাসমান প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ড।

রুপালি রঙের রেজর কেসেই আছে দুই অধিনায়কের সিগারের ছাই
ছবি: এএফপি

প্রশ্ন উঠতে পারে, এত দিন কেন ফুটবলের অ্যাশেজ নিয়ে আলোচনা হয়নি? আলোচনা হবে কীভাবে, অ্যাশেজটা যে হারিয়ে গিয়েছিল! প্রায় ৭০ বছর কোনো হদিস ছিল না সেটির।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল–সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন হারিয়ে যাওয়া ফুটবল অ্যাশেজ বা ভস্মাধার খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। ক্রিকেটের ভস্মাধারের মতো নয় এটি। এই ভস্মাধারটি একটু অন্য রকম। অলংকৃত কাঠের একটি বাক্সের ভেতরে ছোট একটি রুপালি রঙের রেজর কেস, সেটির মধ্যে ১৯২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম ফুটবল ম্যাচের দুই অধিনায়কের সিগারেটের পোড়া ছাই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গ্যালিপলি রণক্ষেত্রের এক সৈনিকের রেজর কেস এটি। ১৯৫৪ সালে হারিয়ে গিয়েছিল ফুটবলের ‘অ্যানজাক সকার ট্রফি’ নামে পরিচিত এই অ্যাশেজ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গ্যালিপলিতে যুদ্ধ করা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সৈনিকদের স্মরণে ২৫ এপ্রিল অ্যানজাক ডে পালন করা হয় দেশ দুটিতে। আজ সেই অ্যানজাক দিবসেই ‘অ্যাশেজ’ খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল ইতিহাসবিদ ট্রেভর টম্পসন এটিকে দেশটির ফুটবলের সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হারিয়ে যাওয়া ভস্মাধারটি খুঁজে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া ফুটবলের সাবেক চেয়ারম্যান সিডনি স্টোরির পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড মৈত্রীর প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ভস্মাধারটিকে, ‘এটা শুধুই একটি ট্রফি নয়, এটি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের একসঙ্গে কাজ করার প্রতীক। এটাকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটি একান্তই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ব্যাপার। এটাকে যে পাওয়া গেছে সেটিই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর।’

আরও পড়ুন