গ্যালারিতে গিয়ে সমর্থককে ম্যান সিটির কোচ হতে বললেন গার্দিওলা
প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসল-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচের ৮২ মিনিটের খেলা চলছিল তখন। ঘরের মাঠ ইতিহাদে ১-০ গোলে এগিয়ে ম্যান সিটি। হঠাৎই সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাকে দেখা গেল গ্যালারির দিকে হেঁটে যেতে। সেখানে গিয়ে সিটির জার্সি পরা এক সমর্থকের উদ্দেশে উত্তেজিত ভঙ্গিতে কিছু বলতেও দেখা গেল তাঁকে। সেই সমর্থক অবশ্য পাল্টা রাগ দেখালেন না, বরং গার্দিওলা যখন তাঁর উদ্দেশে কথা বলছিলেন, তখন তিনি হেসে কুটিকুটি হচ্ছিলেন।
পুরো ঘটনায় আশপাশে থাকা অন্য দর্শক-সমর্থকেরা তখন হতভম্ব! ম্যাচ শেষে সেই ঘটনার ব্যাখ্যা গার্দিওলা নিজেই দিয়েছেন। বলেছেন, কোনো বদলি খেলোয়াড় না নামানোয় সেই সমর্থক তাঁর সমালোচনা করছিলেন। তাই তিনি জবাব দিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রথম ম্যাচে বার্নলির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের পর গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে ম্যান সিটি। আগের ম্যাচে চোটে পড়ায় কেভিন ডি ব্রুইনাকে ছাড়াই এ ম্যাচে খেলতে হয়েছে সিটিকে। এ ম্যাচ গার্দিওলা ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশ, হুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে খেলান আর্লিং হলান্ডকে। আলভারেজের গোলে জয় নিয়ে মাঠও ছাড়ে সিটি। তবে ম্যাচে কোনো খেলোয়াড়কে বদলি হিসেবে নামাননি সিটি কোচ।
২০২২ সালের মে মাসের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে প্রথম একাদশ নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন গার্দিওলা। এমনকি সেই সমর্থকদের সমালোচনার পরও নিজের অবস্থান বদলাননি এই স্প্যানিশ কোচ। উল্টো সমর্থককেই শুনিয়ে দিয়েছেন দুই কথা।
ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘সে আমাকে বলছিল খেলোয়াড় বদলাতে। একজনকে তুলে নিতে এবং আরেকজনকে নামাতে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কাকে করব, আমি তো জানি না। আমি তখন তাঁকে বললাম, “তুমি এখানে আসো এবং করো।”’
সেই সমর্থকের গার্দিওলার কথা শুনে ডাগআউটে নেমে আসার কথা নয়, আসেনওনি। তবে তাঁর অভিব্যক্তি বলছিল, এ কাণ্ডে বেশ মজা পাচ্ছিলেন। এরপর বদলি না করার ব্যাখ্যায় গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমি দেখছিলাম দল তখনো লড়াইয়ে ছিল এবং বলের জন্য লড়াই করছিল। কোচদের হাতে বদলি নামানোর বিকল্প থাকে। তবে তাঁরা সেই সিদ্ধান্ত নেন বা নেন না।’
ডি ব্রুইনাকে হারানোয় মৌসুমের শুরুতে বড় ধাক্কা খেয়েছে সিটি। তবে বেলজিয়ান তারকাকে ছাড়াও যে সিটি যথেষ্ট শক্তিশালী, সেই প্রমাণই তারা দিল নিউক্যাসলকে হারিয়ে। দলটি মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী, তা জানাতে গিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এই দলের মানসিক অবস্থা আমাকে সব সময় বিস্মিত ও আশ্চর্যান্বিত করে।’