মেসির ফ্যানবয় হতে চান না ইন্টার মায়ামির গোলরক্ষক
লিওনেল মেসির আগমনে বদলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল এবং মেজর লিগ সকার (এমএলএস)। তবে মেসির আগমনে সবচেয়ে বেশি বদল ঘটেছে ইন্টার মায়ামির। তিন মাস আগেও ব্যর্থতায় হাবুডুবু খেতে থাকা ক্লাবটিকে বলতে গেলে এককভাবে টেনে তুলেছেন মেসি। মাত্র দুই মাসের মধ্যে জিতিয়েছেন ক্লাব ইতিহাসের প্রথম শিরোপাও। একই সঙ্গে ইন্টার মায়ামিকে অন্য একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালেও তুলেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন তারকা।
শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও চলছে মেসি–ম্যানিয়া। মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে কেউ চাকরি হারাচ্ছেন আবার কেউ আটক হচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। এমনকি সতীর্থরা ও প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরাও আবির্ভূত হচ্ছেন মেসির ভক্ত হিসেবে। এই তো কদিন আগেই মেসির কানাডিয়ান সতীর্থ কামাল মিলারও বলেছেন, মেসির খেলা দেখতে গিয়ে তিনি নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে পারেন না।
তবে মেসির আরেক সতীর্থ মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার অবশ্য এভাবে ভাবেন না। নিজেকে মেসির গুণমুগ্ধও ভাবতে চান না যুক্তরাষ্ট্রের এই গোলরক্ষক। বরং মেসির সঙ্গে একজন সাধারণ সতীর্থের মতো সম্পর্ক গড়ে তুলতে তিনি মনোযোগী। পাশাপাশি মেসি যাতে দলের ভেতর স্বস্তি বোধ করেন, সেই চেষ্টাও করেন বলে জানিয়েছেন ক্যালেন্ডার।
সতীর্থ হিসেবে মেসি কেমন—তা জানাতে গিয়ে ইউএসওপেনকাপ ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যালেন্ডার বলেছেন, ‘সে একজন দারুণ সতীর্থ। সে লাজুক ধরনের মানুষ এবং মৃদুভাষী। আমি সব সময় ভেবেছি এই মানুষটি একটি নতুন লিগ এবং একটি নতুন দেশে এসেছে। সম্ভবত সে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই আমি সব সময় নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করি সে যাতে এখানে স্বাগত অনুভব করে। আমি নিজেকে কখনো তাঁর ফ্যানবয় বা এ রকম কিছু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করি না। আমার মনে হয় আমরা বেশ গড়পড়তা মানের একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছি।’
মাঠে ও মাঠের বাইরে—দুই জায়গাতেই মেসির অবদান স্মরণ করে ক্যালেন্ডার আরও বলেছেন, ‘আমি এই খেলাটির জন্য, দলের জন্য তার নিবেদন দেখেছি। খুব অল্প সময় ধরে সে আমাদের সঙ্গে আছে। সে এমন কিছু দলে এনেছে, যা আমরা করার চেষ্টা করছিলাম। মাঠে এবং মাঠের বাইরে সে দারুণ কিছু অবদান রেখেছে। সে চায় দলের একজন হয়ে থাকতে। সে চায় আমাদের সতীর্থ হতে এবং সে খুবই বিনয়ী। এটা এমন কিছু যাকে আমি খুবই সম্মান করি। তাই সে যেভাবে অনুশীলন মাঠকে চালায় এবং সে অনুশীলন ও খেলাকে যেভাবে গুরুত্ব দেয়, আপনি এখনো তার চোখে সে আগুন দেখতে পাবেন। এটা দেখায় যে লড়াইয়ের জন্য, জেতার জন্য আমাদের কেমন মান দরকার।’