এমবাপ্পের ব্যাপারে পিএসজির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ছিন্ন করেছে রিয়াল
গত কয়েক মৌসুম ধরেই এটি যেন চেনা ছবি। দলবদলের সময় যত ঘনিয়ে আসতে থাকে, কিলিয়ান এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদের যাওয়া নিয়ে আলোচনাও তত বাড়তে থাকে। এবারের ছবিটাও ভিন্ন নয়। মৌসুম যতই শেষের দিকে এগোচ্ছে, এমবাপ্পে ও রিয়ালকে ঘিরে গুঞ্জনও বাড়তে শুরু করেছে।
কিন্তু মার্কা এখন যে খবরটি দিচ্ছে, তাতে যাঁরা এমবাপ্পেকে রিয়ালে দেখতে চান, তাঁদের হতাশা বাড়াবে। মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমবাপ্পেকে কেনার ব্যাপারে সব ধরনের দর–কষাকষি থেকে সরে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পাশাপাশি এ বিষয়ে পিএসজির সঙ্গে রিয়াল সব ধরনের যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে তারা।
গত গ্রীষ্মের দলবদলে এমবাপ্পের পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে যাওয়াকে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে উল্টে যায় পাশার দান। রিয়ালে না গিয়ে পিএসজিতেই থেকে যান এমবাপ্পে।
এত দর–কষাকষির পরও এমবাপ্পের না আসাটা মানতে পারেনি রিয়াল কর্তৃপক্ষ। সে সময় এমবাপ্পের সিদ্ধান্তে সরাসরি নিজের হতাশার কথাও জানান রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। এমবাপ্পে বদলে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন পেরেজ।
অন্যদিকে রিয়ালে না গিয়ে পিএসজির সঙ্গে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন এমবাপ্পে। কিন্তু মৌসুমের শুরু থেকেই পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পের দ্বন্দ্বের খবর সামনে আসে। মেসি–নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং তাঁকে খেলানোর ধরন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এমবাপ্পে। সব মিলিয়ে মাঝ মৌসুমেই এমবাপ্পের সঙ্গে পিএসজির সম্পর্ক একরকম ভেঙে পড়ে।
এমনকি রিয়াল ছাড়া অন্য যেকোনো ক্লাবে যাওয়ার ব্যাপারে এমবাপ্পেকে রিয়ালের সবুজ সংকেত দেওয়ার কথাও শোনা যায়। তবে মাঝে বিশ্বকাপ বিরতিসহ অন্যান্য কারণে আলাপটা কিছু সময়ের জন্য আড়ালে পড়ে যায়। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে পিএসজির বিদায়ের পর আবার নতুন করে আলোচনায় এমবাপ্পের ক্লাব ছাড়ার প্রসঙ্গ। এই মাসের শুরুতে রিয়ালের ফের এমবাপ্পেকে কেনা দৌড়ে নামার কথা শোনা যায়।
তবে যাঁরা এমবাপ্পেকে রিয়ালে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন, তাঁদেরকে বড় আশায় পানি ঢেলে দিল মার্কার খবরটি। এখন নাকি রিয়াল এমবাপ্পেকে কেনার পথ থেকে পুরোপুরি সরে এসেছে। এমনকি তারা পিএসজির সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আর কোনো যোগাযোগ করছে না।
এদিকে পিএসজির সঙ্গে এমনিতেই সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না এমবাপ্পের। পিএসজিও নাকি এই ফরাসি ফরোয়ার্ডের কাছে থাকা না–থাকার ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছে। সব মিলিয়ে এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ কিছুটা অনিশ্চিতই মনে হচ্ছে।