২০০৭ সালের পর যে আনন্দ নিয়ে ছুটিতে গেল আর্সেনাল

প্রিমিয়ার লিগে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির হারেই নিশ্চিত হয়েছিল শীর্ষে থেকে আর্সেনালের ‘ছুটি’তে যাওয়া। নিজেদের ম্যাচে উলভসকে ২–০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থানটা আরও পোক্ত করে নিল মিকেল আরতেতার দল।

বিশ্বকাপের কারণে ক্লাবগুলোর বড়দিনের ছুটি এবার একটু আগেই শুরু হয়ে গেল। বিশ্বকাপ ও বড়দিনের ছুটি শেষে প্রিমিয়ার লিগের খেলা ফের মাঠে গড়াবে ২৭ ডিসেম্বর থেকে। সে সময় পর্যন্ত শীর্ষস্থানেই থাকছে গানাররা।

এর ফলে ২০০৭ সালের পর এই প্রথম শীর্ষে থেকে বড় দিন পালন করার সুযোগ পেল আর্সেনাল। অবশ্য শীর্ষে থাকা দূরে থাক, ২০১৬ সালের পর বড়দিনের আগে শীর্ষ পাঁচের ওপরেই আর ওঠা হয়নি আর্সেনালের।

উলভাসের মাঠে গতকাল নিজেদের সাম্প্রতিক সময়ের দারুণ ছন্দ ধরে রেখে দাপুটে ফুটবল খেলেছে আর্সেনাল। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ তৈরি করলেও প্রথমার্ধে পাওয়া হয়নি কোনো গোল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে আর্সেনালকে প্রথম লিড এনে দেন মার্টিন ওডেগার্ড। পরে সেই ওডেগার্ডই ৭৫ মিনিট দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন।

এই দুই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল। দারুণ এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে গেল এমিরেটসের দলটি। ১৪ ম্যাচে ১২ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৭ এবং সমান ম্যাচে ১০ জয়, ২ ড্র ও ২ হারে দুইয়ে থাকা ম্যান সিটির পয়েন্ট ৩২।

দলের এমন পারফম্যান্সে এখন রীতিমতো উড়ছেন আর্সেনাল কোচ আরতেতা। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত আরতেতা বলেছেন, ‘আমরা এখন যে অবস্থানে আছি, সেখানে থাকব, তা নিশ্চিতভাবেই কেউ আশা করেনি। তবে আমরা যেখানে আছি, সেটা দারুণ ব্যাপার। মুহূর্তটা আমরা দারুণ উপভোগ করছি।’

নিজেদের জয়ের সঙ্গে সিটির হার আর্সেনালের বিশ্বকাপ বিরতিতে যাওয়ার আনন্দটাকে দ্বিগুণ করেছে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আরতেতা বলেছেন, ‘আপনারা বুঝতেই পারছেন! তবে এই লিগটা এমনই এবং এটাই এর সৌন্দর্য। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই এটা শুরু হয়। কারণ, এখানে প্রতিযোগিতা এত বেশি যে আপনাকে সব সময় অন্য প্রতিপক্ষের দিকে তাকাতে হয়। এটা সব দলই করে থাকে।’