মেসির সঙ্গে বাদানুবাদের পর বর্ণবাদী আচরণের শিকার রদ্রিগো
ব্রাজিলের তারকা ফরোয়ার্ড রদ্রিগো বলেছেন, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে লিওনেল মেসির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন। গত বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মারাকানা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার কাছে ১–০ গোলে হারে ব্রাজিল। তবে ফল ছাপিয়ে ম্যাচটি আলোচিত হয় গ্যালারিতে দর্শকদের মারামারি এবং আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী বার্তা পাওয়ার কথা বলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ২২ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। মারাকানায় ম্যাচটি শুরুর আগে জাতীয় সংগীতের সময় গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকদের মারামারি বাধে। ব্রাজিলের পুলিশ গ্যালারিতে ঢুকে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের লাঠিপেটা করে। তা থামাতে দল নিয়ে গ্যালারির এক কোনায় ছুটে যান মেসি। এরপর দল নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলেও যান। প্রায় আধা ঘণ্টা পর ফিরে এসে ম্যাচ খেলার পর ব্রাজিল পুলিশের নির্মম আচরণের সমালোচনা করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
দল নিয়ে মাঠে ফেরার পর ম্যাচ শুরুর আগে মেসি ব্রাজিল অধিনায়ক মারকিনিওসের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে রদ্রিগোর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তাঁর। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ দাবি করেছে, মেসি ও রদ্রিগো দি পলকে ‘কাপুরুষ’ বলেছিলেন রদ্রিগো। উত্তরে মেসি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কাপুরুষ হতে যাব কেন? মুখ সামলে কথা বলো।’
এ ঘটনার পর রদ্রিগো জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বানর, কলার ইমোজিসহ প্রচুর বর্ণবাদী খুদে বার্তা পেয়েছেন। গতকাল নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে রদ্রিগো এ নিয়ে লিখেছেন, ‘বর্ণবাদীরা সব সময় তৎপর। তারা আমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে হানা দিয়ে নানা অপমানসূচক বাজে কথা বলেছে। তারা যা চায় সেটা যদি আমরা না করি, তাদের প্রত্যাশানুযায়ী যদি আচরণ না করি, এমন কিছু যদি পরি যেটা তাদের বিরক্তির উদ্রেক ঘটাবে, তাদের আক্রমণাত্মক কথার সামনে যদি মাথা নত না করি, যদি এমন জায়গায় দাঁড়াই যেটা তারা নিজেদের বলে মনে করে; তখন বর্ণবাদীরা অপরাধমূলক আচরণ করে। তাদের দুর্ভাগ্য, আমরা থামব না।’
চোটের কারণে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারেননি ব্রাজিলের তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস। ক্লাব ও জাতীয় দল সতীর্থকে সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিনিসিয়ুস লিখেছেন, ‘আমরা থামব না।’ রদ্রিগোর বাবা এরিক গোয়েসও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তবে সেটি মেসির সঙ্গে তাঁর ছেলের বাদানুবাদ নিয়ে। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সেই মুহূর্তের ছবি এবং উরুগুয়ে ম্যাচে মেসির উত্তপ্ত আচরণের ছবি পোস্ট করে এরিক গোয়েস লিখেছেন, ‘কেউ কি বিস্মিত হয়েছে। এই খুদে সন্তু তো কখনো কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায়নি।’ কথাটি যে মেসিকে তাক করে বলা, সেটি সহজে বোধগম্য।