এরিক টেন হাগ কোচ হয়ে আসার পর খোলনলচে পাল্টে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংল্যান্ডের একমাত্র দল হিসেবে মৌসুমে চার শিরোপার দৌড়ে টিকে আছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি।
এর মধ্যে লিগ কাপ (কারাবাও কাপ নামে পরিচিত) জিতে তো অর্ধযুগের শিরোপা–খরাও ঘুচিয়ে ফেলেছে ইউনাইটেড। ইউরোপা লিগে আগামী পরশু রিয়াল বেতিসকে হারাতে পারলেই ইউনাইটেড জায়গা করে নেবে শেষ চারে। অন্য দুই ঘরোয়া প্রতিযোগিতায়ও ভালো অবস্থানে রেড ডেভিলরা। এফএ কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে আর প্রিমিয়ার লিগে আছে তিনে।
লিগ শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা কম হলেও পরশু নটিংহাম ফরেস্টকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষ তিনে থাকাটা পোক্ত করে ফেলেছে ইউনাইটেড। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেরা তাই একরকম নিশ্চিত।
ইউনাইটেডের শেষ জয়ে গোল করেছেন আন্তোনি ও দিয়োগো দালোত। কিন্তু জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তাদের মধ্যমাঠের। রিয়াল মাদ্রিদে থাকতে লুকা মদরিচ ও টনি ক্রুসকে নিয়ে যেমন ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল’ গড়ে তুলেছিলেন কাসেমিরো, ইউনাইটেডে এসেও পেয়েছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের মতো দুই সঙ্গী। মধ্যমাঠে তাঁদের রসায়ন বেশ জমে উঠেছে।
পরশু প্রথম গোলে ব্রুনো ফার্নান্দেজ যেভাবে বল বানিয়ে দিয়েছেন, তাতে মুগ্ধ রিও ফার্ডিনান্ড। ইউনাইটেডের কিংবদন্তি এই ডিফেন্ডার মাঠে সৃজনশীলতার দিকে থেকে মেসির পরই ফার্নান্দেজকে রেখেছেন। গোল ডটকমের প্রতিবেদন লেখা হয়েছে, একটি ইউটিউব চ্যানেলকে ফার্ডিনান্ড বলেছেন, ‘পাস বাড়ানো ও গোলের সুযোগ সৃষ্টিতে সে (ব্রুনো ফার্নান্দেজ) অসাধারণ। পরিসংখ্যানে তাকালে বুঝবেন, ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর গোল করা ও করানোয় ওর চেয়ে শুধু মেসি ওপরে আছে। আমি বলছি না, সে মেসির মানের। এটা কেউ বলবেও না। তবে নিজেকে মেসির পর্যায়ে নিতে চাইলে ওর এরিকসেনের সহযোগিতা প্রয়োজন। এরিকসেন যে পরিমাণ পাস বাড়ায়, তাতে সতীর্থদের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।’
গত বছর গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ইউনাইটেডে নাম লেখান ডেনিশ তারকা এরিকসেন। তবে অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়ায় এ মৌসুমে বেশ কয়েকটি ম্যাচ মিস করেছেন। পুরোপুরি সেরে ওঠার পর সম্প্রতি মাঠে ফিরেছেন এই প্লে–মেকার। ফেরার পর থেকেই আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। ফার্নান্দেজ–কাসেমিরো–এরিকসেন এত অল্প সময়ে একটা রেকর্ডও করে ফেলেছেন। এই মধ্যমাঠের ত্রয়ী একসঙ্গে খেলেছেন, এমন ম্যাচে এখনো হারেনি ইউনাইটেড।