২৮ গোল করা কেইন কী পেলেন এই মৌসুমে
হ্যারি কেইনের আক্ষেপ হতেই পারে, এই মৌসুমে কী পেলেন তিনি!
প্রিমিয়ার লিগে ২৮ গোল করেছেন। কিন্তু এই ২৮ গোলের পরও তাঁর ক্লাব টটেনহাম ব্যর্থ। তাঁর যে পরিসংখ্যান, তাতে এই মৌসুমে অনেক কিছুই তাঁর প্রাপ্য ছিল। কিন্তু কেইন পড়ে গেছেন আর্লিং হলান্ডের আড়ালে। ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার ৩৬ গোল করে ‘গোলমেশিন’ তকমা নিয়েছেন। কিন্তু কেইন নিজেও খুব একটা পিছিয়ে নেই। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ৩০ গোল করেছিলেন কেইন। এবারও সেই ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করার সুযোগ থাকছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের সামনে। লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে টটেনহামের একটি ম্যাচ এখনো বাকি।
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে হলান্ডই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি এ মৌসুমে কেইনের চেয়ে বেশি গোল করেছেন। কেইন ছাড়াও ২৮টি করে গোল করেছেন শুধু পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ফেনেরবাচের এনার ভ্যালেন্সিয়া। কেইনের আক্ষেপটা একাধিক জায়গায়; এক, তাঁর ক্লাব টটেনহাম এ মৌসুমে কিছুই করতে পারেনি। প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম তাদের অবস্থান। দুই, হলান্ডের অসাধারণ গোল করার ক্ষমতা। ২৮ গোলের কম করেও যে কেইন এর আগে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতেছেন। কেইন যে তিন মৌসুমে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন, তার দুটিতে তিনি ২৮ গোলের কম করেছিলেন। প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ারে কেইন এর চেয়ে বেশি গোল করেছিলেন শুধু ২০১৭-১৮ মৌসুমে (৩০টি)।
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে গোলটি ছিল প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর ভিন্ন ২৫ ম্যাচে করা গোল। প্রিমিয়ার লিগে প্রতিটি দল ৩৮টি করে ম্যাচ খেলে। এত কিছুর পরও নিজের ক্লাব টটেনহামের ওপর কেইনের অভিমান হওয়াটাই স্বাভাবিক। ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর এবারই যে টটেনহামের অবস্থান লিগ টেবিলে সবচেয়ে নিচে। ২০০৯ সালে টটেনহামে অভিষেকের পর তিনি ধারে লেটন ওরিয়েন্ট, মিলওয়াল, নরউইচ সিটি আর লিস্টারে খেলে ২০১৪ সালে আবার টটেনহামে ফেরেন। তাঁর টটেনহাম ক্যারিয়ারে ২০২০-২১ মৌসুমেই শুধু টটেনহাম লিগ শেষ করেছিল সাতে থেকে।
কোনো কিছুই না পাওয়ার এই মৌসুমে কেইনের গোল করার ক্ষমতার আরও কিছু নমুনা মিলবে নানা পরিসংখ্যান থেকে। তিনি এ মৌসুমে টটেনহামের হয়ে প্রতি ৯০ মিনিটে করেছেন ০.৭৬ গোল। এর আগে প্রতি ৯০ মিনিটে কেইন গোল করায় এগিয়ে ছিলেন শুধু দুই মৌসুম—২০১৬-১৭ (১.০৪ গোল) আর ২০১৭-১৮ মৌসুমে (০.৮৮ গোল)। এ মৌসুমে প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে ১২৮টি শট নিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ সাত মৌসুমের তিনটিতে তিনি এর চেয়ে বেশি শট নিয়েছেন গোলে। এই ১২৮ শটের ৫১টি ছিল গোলপোস্টে। তাঁর নিখুঁত শটের হার ৪২.১। আর্লিং হলান্ড গোলপোস্টে শট রাখতে পেরেছেন কেইনের চেয়ে মাত্র একটি বেশি—৫২টি।
কেইন তাঁর এই ২৮টি গোল করেছেন গড়ে গোলপোস্টের ১৬ গজ দূরত্ব থেকে। যেখানে হলান্ডের গোল করার দূরত্ব গড়ে গোলপোস্টের ১২.৬ গজ দূরত্ব থেকে। ভাবা যায়, টটেনহামের মোট গোলের ৪২.৪ শতাংশ গোলই তাঁর! হলান্ডের ৩৬ গোল ম্যানচেস্টার সিটির করা মোট গোলের ৩৮.৭ শতাংশ। কেইনের ২৮ গোলের ১১টি এসেছে হেড থেকে, ১০টি এসেছে তাঁর ডান পায়ের শটে, দুটি বাম পায়ের শটে। পাঁচটি গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে।