বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে গোল দিতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া
আল রাইয়ানে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। বিশ্বকাপে গত ২০ বছরে গ্রুপপর্ব পার হয়ে নকআউটে ইউরোপিয়ান কোনো দলের বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি লাতিন আমেরিকার দলটি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কি আজ এই খরা কাটাতে পারবে তিতের দল?
সময়ই তা বলে দেবে। তার আগে পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক। ২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স, ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানি এবং সর্বশেষ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল।
২০০২ বিশ্বকাপের নকআউটে সর্বশেষ কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষকে হারাতে পেরেছে ব্রাজিল। সে আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পঞ্চমবারের মতো শিরোপাও জিতেছিলেন রোনালদো-রোনালদিনিওরা।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অবশ্য শতভাগ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ব্রাজিলের। এ পর্যন্ত ৪বার মুখোমুখি হয়ে ৩ জয় ও ১ ম্যাচে ড্র করেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপে। ২০০৬ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে কাকার গোলে পূর্ব ইউরোপের দলটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপেও গ্রুপপর্বে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন নেইমার-মার্সেলোরা।
নেইমারের জোড়া গোল ও অস্কারের গোলে সেবার ক্রোয়েশিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। আত্মঘাতী গোল করেছিলেন মার্সেলো। অর্থাৎ, বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জালে ক্রোয়েশিয়া এখনো গোল করতে পারেনি। বিশ্বকাপের বাইরে দুটি প্রীতি ম্যাচের মধ্যে প্রথমটিতে ২০০৫ সালে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ব্রাজিল। ২০১৮ সালে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।
গত ২০ বছরে বিশ্বকাপে নকআউট পর্বের হিসেবের বাইরে ইউরোপের দলগুলোর বিপক্ষে ব্রাজিলের রেকর্ড কিন্তু বেশ ভালো। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ৭৬ ম্যাচে ইউরোপের দলগুলোর মুখোমুখি হয়ে ৪৫বার জিতেছে ব্রাজিল। ১৫ ড্র ও ১৬ ম্যাচে হেরেছে।
ব্রাজিল যে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, প্রতিবারই প্রতিপক্ষ ছিল ইউরোপের দলগুলো—১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল সুইডেন, ১৯৬২ বিশ্বকাপে সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়া, ১৯৭০ সালে ইতালি ও ১৯৯৪ সালেও ইতালিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনালেই শুধু হারতে হয় ইউরোপের দল ফ্রান্সের কাছে।