গোল করেছেন, গোল করিয়েছেনও। গড়েছেন অ্যানফিল্ডের রেকর্ড। ভেঙেছেন টুর্নামেন্টে আফ্রিকান রেকর্ডও। আজ চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের ম্যাচ ছিল মোহাম্মদ সালাহ-ময়। মিসরীয় তারকার রেকর্ডের রাতে বোলোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। এটি এবারের আসরে আর্নে স্লটের দলের দ্বিতীয় জয়।
টানা দ্বিতীয় জয় তুলেছে জুভেন্টাসও। ইতালিয়ান ক্লাবটি দুবার পিছিয়ে পড়েও আধা ঘণ্টার বেশি সময় দশজন নিয়ে খেলেই লাইপজিগকে হারিয়েছে ৩-২ গোলে।
অ্যানফিল্ডে বোলোনিয়ার বিপক্ষে লিভারপুল গোলের দেখা পেয়ে যায় ১১তম মিনিটে। সালাহর বাড়ানো বল ধরে দলকে এগিয়ে দেন আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টার। লিভারপুলের জার্সিতে কোনো আর্জেন্টাইনের চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম গোল এটি। ম্যাচে এই এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লিভারপুল।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে গোল করেন সালাহ নিজেই। এই গোলটি বানিয়ে দেওয়ার বড় কৃতিত্ব অবশ্য ডমিনিক সোবোসলাইয়ের।
এটি ছিল ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অ্যানফিল্ডে সালাহর টানা পঞ্চম ম্যাচে গোল। লিভারপুলের হয়ে এমন কীর্তি আর কারও নেই। ইংলিশ ক্লাবের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা হোম ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭ গোল আছে আর্সেনালের থিয়েরি অঁরির, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ৬ ম্যাচে গোল আছে রুড ফন নিস্টলরয়ের।
সালাহ তাঁর একমাত্র গোলটিতে গড়েছেন আফ্রিকান রেকর্ডও। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে আফ্রিকান খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৫ গোল এখন তাঁর, ৪৪ গোল নিয়ে দিদিয়ের দ্রগবা নেমে গেছেন দুইয়ে।
তবে ব্যক্তিগত কৃতিত্বের চেয়ে সালাহর বেশি খুশি হওয়ার কথা দলের জয়ে। প্রথম ম্যাচে এসি মিলানকে ৩-১ গোলে হারানোর পর এবার ২-০ ব্যবধানের জয়। টানা দুই জয়ে নতুন কাঠামোর চ্যাম্পিয়নস লিগে শুরুটা স্বস্তিকরই হয়েছে তাঁর দলের।
এ দিকে জার্মানিতে গিয়ে রেড বুল অ্যারেনায় নাটকীয় জয় তুলেছে জুভেন্টাস। ৩০ ও ৬৫ মিনিটে গোল করে লাইপজিগকে দুই দফায় এগিয়ে দিয়েছিলেন বেঞ্জামিন সেসকো। তবে ৫০ ও ৬৮ মিনিটে দুটি গোল শোধ করে দেন দুসান ভ্লাহোভিচ। এর মধ্যে আবার ৫৯ মিনিটে লাল কার্ডের কারণে ডি জর্জিনিওকে হারিয়ে ফেলে জুভেন্টাস। তবে দশজনের দলটিই ৮২ মিনিটে চিকো কাইসেদোর গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।