সালাম মুর্শেদীকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ফিফার, সোহাগের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। মূলত বাফুফের অর্থ কমিটির প্রধান হিসেবে ফিফা প্রদত্ত অর্থের অনিয়মের কারণেই এই জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। সেই অনিয়মে ক্রয় ও পরিশোধের প্রক্রিয়াগুলোতে মিথ্যা তথ্য, ত্রুটিপূর্ণ ক্রয় আদেশ ও ভূয়া দলিল পরিবেশনের দায়ে দেওয়া হয়েছে এই শাস্তি।
আজ ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই জরিমানার কথা বলা হয়। একই ঘটনায় বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা ও তিন বছরের জন্য ফুটবল সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে তাঁকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। একই সঙ্গে বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সাবেক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান—দুজনকেই ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা ও ২ বছরের জন্য ফুটবল সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাফুফের ক্রয় ও স্টোর কর্মকর্তা ইমরুল হাসান শরীফকে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা বা আর্থিক জরিমানা করা হয়নি। তাঁকে এ ব্যাপারে ফিফার তত্ত্বাবধানে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইমরুল হাসান যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে আবু নাঈম সোহাগকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাফুফেকে দেওয়া ফিফার টাকার হিসাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণে সেই শাস্তি পেয়েছিলেন আবু নাঈম সোহাগসহ অন্যরা। ফিফা অবশ্য সে সময় অর্থ কমিটির প্রধান সালাম মুর্শেদীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
ফিফার তহবিলের অর্থ খরচে জালিয়াতি ধরা পড়েছিল ফিফার তদন্তে। তখন এ ব্যাপারে শুনানিও হয়েছিল। সেই শুনানিতে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়ে। সোহাগসহ ফেডারেশনের অভিযুক্ত কর্তারা ফিফার সদর দপ্তরে গিয়ে সেই শুনানিতে অংশ নেন। এর আগে ফিফা বাফুফেতে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে আর্থিক জালিয়াতির তদন্ত করেছিল।