আইভরিকোস্টকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোতে ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, সঙ্গী মিসর ও নাইজেরিয়া

ইকুয়াটোরিয়াল গিনির চমকএএফপি

চমকে দিল ইকুয়াটোরিয়াল গিনি। আফ্রিকান নেশনস কাপে চলতি আসরের আয়োজক আইভরিকোস্টকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা নিশ্চিত করেছে দলটি। এমন হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পথে আইভরিকোস্ট। গ্রুপ ‘এ’-র অন্য ম্যাচে গতকাল গিনি বিসাউকে ১-০ গোলে হারিয়ে নাইজেরিয়াও শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে।

গ্রুপ ‘বি’–এর ম্যাচে গতকাল চমক দেখিয়েছে কেপ ভার্দেও, সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিসরকে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে তারা। শেষ ষোলোতে উঠে গেছে দুদলই। আরেক ম্যাচে যোগ করা সময়ে ২ গোল হজম করে মোজাম্বিকের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ঘানা। তাতে গ্রুপে সেরা তিন দলের মধ্যে না থাকার শঙ্কায় পড়েছে ঘানা। একই শঙ্কা এখন আইভরিকোস্টেরও। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে অন্তত তৃতীয় হতে হবে গ্রুপে। তবে তৃতীয় হলেই হবে না, ছয়টি তৃতীয় হওয়া দলের মধ্যে সেরা চারে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

আইভরিকোস্টকে চমকে দেওয়া ইকুয়াটোরিয়াল গিনির ২৭ খেলোয়াড়ের ১৭ জনেরই জন্ম স্পেনে। এই টুর্নামেন্টে এর আগে তিনবার অংশগ্রহণ করেছে তারা। যেখানে একবার সেমিফাইনাল ও দুবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে তারা। এমন ইতিহাস থাকার পরও আইভরিকোস্টের বিপক্ষে ইকুয়াটোরিয়াল গিনির সুযোগ দেখেননি কেউ।

হতাশ আইভরিকোস্টের সমর্থকেরা
এএফপি

আইভরিকোস্টের চেয়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৯ ধাপ পেছনে গিনি। এ দলই প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে আরও ৩টি। দুই গোল করেছেন স্পেনে বেড়ে ওঠা গিনির উইঙ্গার এমিলিও এনসু। ৩ ম্যাচে টুর্নামেন্টে তাঁর গোল এখন ৫টি। বাকি দুটি গোল এসেছে পাবলো গানেট ও জাননিক বুইলার কাছ থেকে।

আরও পড়ুন

ম্যাচ শেষে গিনির কোচ জুয়ান মিচা বলেন, ‘আমরা জানতাম, আমাদের প্রতিপক্ষে চাপে আছে, পরিকল্পনা করার সময় এই বিষয় মাথায় রেখেছি। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আমরা যত দূর সম্ভব পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমরা অনেক বড় পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করছি। আইভরিকোস্টের কথা যদি বলি, আমার খারাপ লাগছে, কারণ, তারা আয়োজক দেশ, কিন্তু এটাই ফুটবল। এই ম্যাচ আমাদের ভুলতে হবে, টুর্নামেন্টের বাকি অংশ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।’

কেপ ভার্দে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিসরকে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে
এএফপি

আইভরিকোস্টের কোচ জন লুইস গাসেটের দাবি, সর্বোচ্চ দিয়েও তাঁর দল পারেনি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এটা আমাদের মানসিকতার জন্য হয়েছে। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের মুখের দিকে যখন তাকাই দেখছি তারা কাঁদছে, এটা আমাকে কষ্ট দেয়। আমরা চেষ্টা করেছি, আমার মনে হয় আমরা সবটা দিয়েছি।’

আরও পড়ুন