মোহামেডানকে হারিয়ে কিংসের সঙ্গে ব্যবধান কমাল আবাহনী

মোহামেডানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী
সংগৃহীত ছবি

সাধারণত সব হিসাব ছাড়িয়ে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ হয়ে ওঠে মর্যাদার লড়াই। কিন্তু আজকের ম্যাচের প্রেক্ষাপটটা একটু আলাদাই ছিল। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াইয়ে থাকা আবাহনীর জন্য মোহামেডানকে হারানো ছিল জরুরি। আজকের আগে লিগের ছয় ম্যাচের সব কটি ম্যাচ জিতে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে আবাহনীর ব্যবধান ছিল ছয় পয়েন্টের।

মোহামেডানকে হারিয়ে সেই ব্যবধান কমিয়ে এনেছে ৩-এ। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। একটি করে গোল করেছেন পিটার নোরাহ ও দানিয়েল কলিনদ্রেস।

আরও পড়ুন

৭ ম্যাচে এটি আবাহনীর চতুর্থ জয়। এ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই আছে আবাহনী। আর ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমে গেল মোহামেডান। ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বসুন্ধরা কিংস।

৭ ম্যাচে এটি আবাহনীর চতুর্থ জয়
ছবি: সংগৃহীত

নাবিব নেওয়াজ, এলিটা কিংসলে, দানিয়েল কলিনদ্রেস, পিটার নোরাহ—আবাহনীর ফরোয়ার্ডদের কেউই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না এবারের প্রিমিয়ার লিগে। নোরাহ তো এ ম্যাচের আগপর্যন্ত কোনো গোলই করতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত সপ্তম ম্যাচে এসে পেলেন নিজের প্রথম গোল। ম্যাচের ১১ মিনিটে কলিনদ্রেসের পাস, দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে দারুণ এক শটে নোরাহ এগিয়ে নেন আবাহনীকে।

আরও পড়ুন

মোহামেডানের গোল শোধের যা একটু চেষ্টা দেখা গেছে, তা সোলেমান দিয়াবাতের মধ্যেই। কিন্তু মোহামেডানের এই ফরোয়ার্ড যতবারই বক্সে ঢুকেছেন, কখনো খেই হারিয়ে পড়ে গেছেন, কখনো আবাহনীর ডিফেন্ডারদের দারুণ ট্যাকলে ফিনিশিংটা মনের মতো হয়নি।

ম্যাচের ৫৭ মিনিটে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন দানিয়েল কলিনদ্রেস। বক্সের মধ্যে অবশ্য কলিনদ্রেসকে কড়া পাহারায় রেখেছিলেন রিকার্দো ফাবলেস আরগুয়েলেস। একপর্যায়ে কলিনদ্রেসকে টেনে ধরার চেষ্টাও করেন এই স্প্যানিয়ার্ড। কিন্তু মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগে ডান পায়ের টোকায় করেন দুর্দান্ত এক গোল (২-০)। প্রিমিয়ার লিগে এটি কলিনদ্রেসের চতুর্থ গোল।

মোহামেডান অবশ্য পুরো ম্যাচে সেরা সুযোগটা পেয়েছিল ৭২ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত থেকে আবিদ হোসেনের ক্রসে দিয়াবাতে মাথা ছুঁয়েছিলেন। যদিও আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম প্রথম চেষ্টায় বলটি ধরতে পারেননি। কিন্তু পাশেই দাঁড়ানো মোহামেডানের ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসেনও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আবাহনীর ডিফেন্ডার আলমগীর মোল্লা বল বিপদমুক্ত করেন।