রোনালদোর চোখে ইউরো জয়ই বিশ্বকাপ জয়ের সমান
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অপূর্ণতার নাম বিশ্বকাপ। ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন রোনালদো। কিন্তু পর্তুগালকে সেমিফাইনালের চেয়ে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি।
রোনালদোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিও খেলেছেন পাঁচটি বিশ্বকাপ। তবে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন সর্বশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা। দুজনের মধ্যে কে সেরা—এই প্রশ্নের উত্তরে এখন তাই মেসিকেই এগিয়ে রাখেন অনেকে।
তাই বলে রোনালদোর বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ফর্ম ও ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে এখন থেকে এক বছর দশ মাস পর যুক্তরাষ্ট্রে, কানাডা ও মেক্সিকোয় হতে যাওয়া ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁর খেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
গত জুলাইয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানিয়েছিল, পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলতে চান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। যদিও সেই সময় তাঁর বয়স হবে ৪১ বছর ৪ মাস।
উয়েফা নেশনস লিগে গত রাতে নিজেদের মাঠে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের ২-১ ব্যবধানের জয়ের পর সাংবাদিকেরা আবারও তাঁকে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা-না খেলার ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন। শীর্ষ স্তরের ফুটবলে কাল ক্যারিয়ারের ৯০০তম গোল করা এই কিংবদন্তি এবার অনেকটা নির্বিকার উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পর্তুগালের একটা ইউরো (চ্যাম্পিয়নশিপ) জেতাই বিশ্বকাপ জয়ের সমান। আমি পর্তুগালের হয়ে দুটি ট্রফি জিতেছি, যা সত্যিই চেয়েছিলাম।’
২০১৬ সালে রোনালদোর নেতৃত্বে ইউরোয় চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল, যা ছিল দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম শিরোপা। ২০১৯ সালে উয়েফা নেশনস লিগের উদ্বোধনী আসরেরও ট্রফি ওঠে রোনালদোর পর্তুগালের হাতে।
৯০০তম গোলের মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে রোনালদো সেই পুরোনো কথাগুলোই নতুন করে বলেছেন, ‘এসব আমাকে অনুপ্রাণিত করে না। আমি ফুটবল উপভোগ করি। এটাই আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। রেকর্ডগুলো প্রাকৃতিক উপায়েই হয়। আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমার পেছনে ছোটে।’
শীর্ষ স্তরের ফুটবলে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৩টি ট্রফি জিতেছেন রোনালদো। মেসি জিতেছেন রেকর্ড ৪৫টি। তবে ক্যারিয়ারে মেসির চেয়ে ৬২ গোল বেশি করেছেন তাঁর চেয়ে বয়সে ২ বছর ৪ মাসের বড় রোনালদো।