গোলকিপারকে মেরে স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ ৪০ বছর
সেভিয়ার বিপক্ষে ফিরতি লেগ ২–০ গোলে জিতেও বাদ পড়তে হয়েছিল পিএসভি আইন্দহোফেনকে। প্রথম লেগে ৩ গোল হজম করায় ৩–২ গোলের হার, সমর্থকদের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন। তবে তাই বলে একজন সমর্থক যে কাণ্ড করে বসেছিলেন, তা রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যাওয়ার মতো।
ম্যাচের একদম শেষ দিকে মাঠে ঢুকে সেভিয়া গোলকিপার মার্কো দিমিত্রোভিচকে ঘুষি মেরে বসেন সেই সমর্থক। জাতিতে সার্ব এই গোলকিপার পাল্টা আক্রমণে ধরাশায়ী করেন তাঁকে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউরোপা লিগ প্লে–অফ ফিরতি লেগের এই ঘটনায় সাজা পেয়েছেন পিএসভির ২০ বছর বয়সী সেই সমর্থক।
আইন্দহোফেনের ফিলিপস স্তাদিওনের স্টেডিয়ামে ৪০ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি স্টেডিয়ামের আশপাশে আসতে পারবেন না দুই বছর। এর সঙ্গে তিন মাস কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সংবাদমাধ্যমে এই সমর্থকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আইন্দহোফেনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সেই সমর্থকের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণও নেওয়া হবে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেই ঘটনার পর উয়েফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি তদন্ত শুরু করেছে এবং তাতে আইন্দহোফেনকেও বড় অঙ্কের জরিমানা গুণতে হতে পারে।
বন্ধুর কেনা টিকিট দিয়ে সেদিন ম্যাচটি দেখতে এসেছিলেন সেই সমর্থক। পিএসভি জানিয়েছে, এই সমর্থককে আগেই ২০২৬ সাল পর্যন্ত সব স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করেছে ডাচ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। দিমিত্রোভিচ ঘুষি হজমের পর তাঁকে চেপে ধরে মাটিতে শুইয়ে দেন।
নিরাপত্তারক্ষীরা এসে সেই সমর্থককে নিয়ে যান। ম্যাচ শেষে পিএসভির দিমিত্রোভিচ বলেছিলেন, ‘ফুটবলে এমন কিছু দেখা মোটেই ভালো ব্যাপার নয়। এটা হওয়া উচিত নয়। আমি আশা করি, এসব ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি হবে। সে এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। সে সম্ভবত ফল নিয়ে খুশি ছিল না।’
ক্যানবেরা টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮ মার্চ তাঁকে দুই মাস কারবাসের শাস্তি এবং আবারও এমন কিছু ঘটালে আরও এক মাসের সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ২০৬৩ সাল পর্যন্ত তাঁকে স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করে পিএসভি।
ক্লাবটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউরোপা লিগে সেভিয়ার বিপক্ষে যে ব্যক্তি মাঠে ঢুকেছিলেন, তাঁকে ৪০ বছর নিষিদ্ধ করা হলো। উয়েফার আরোপিত জরিমানাও হতে পারে। সেই ব্যক্তি এখন ইস্ট ব্র্যাবান্ট ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের রায়ে স্থগিত এক মাসের কারাবাসসহ মোট তিন মাসের দণ্ডাদেশ খাটছেন। স্টেডিয়ামের আশপাশেও তাঁকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
ফেনারবাখকে শেষ ষোলোয় হারিয়ে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সেভিয়া। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা হবে এপ্রিলে।