২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ডাচ ফরোয়ার্ডকে মেসির ধমক

সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন মেসিছবি: টুইটার

লুসাইল স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের নিষ্পত্তি ততক্ষণে হয়ে গেছে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ২–২ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে ৪–৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা।

উদ্‌যাপন শেষে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াসি স্পোর্টস–এর সঙ্গে কথা বলছিলেন লিওনেল মেসি। সাক্ষাৎকার শুরুর কয়েক সেকেন্ড আগে ডাচদের ফরোয়ার্ড ভাউট ভোগহোর্স্টের প্রতি ধমকের সুরে কথা বলেন আর্জেন্টাইন তারকা।

আরও পড়ুন

মেম্ফিস ডিপাইয়ের বদলি হয়ে নেমেছিলেন ভোগহোর্স্ট। বার্নলি থেকে বেসিকতাসে ধারে খেলা এই স্ট্রাইকারের জোড়া গোলেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২–২ গোলে সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। ৩৫ মিনিটে নাহুয়েল মলিনার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরও এক গোল করেন মেসি। এরপর ৮৩ মিনিটে এবং যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল করে ডাচদের সমতায় ফেরান ভোগহোর্স্ট। যদিও গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বীরত্বে টাইব্রেকার জিতে আর্জেন্টিনাই উঠেছে সেমিফাইনালে।

টিওয়াইসি স্পোর্টসের সংবাদকর্মী গাস্তন এদুল ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে মেসির সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। কথা শুরুর আগে ডানে কিছুক্ষণ শীতল চোখে তাকিয়ে কারও প্রতি চিৎকার দিয়ে মেসি বলে ওঠেন,‘এদিকে তাকিয়ে আছ কেন, নির্বোধ? ওদিকে যাও।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে গাস্তন এদুল একটি টুইট করেন, ‘লোকটা কে ছিল, তা আপনারা জানতে চাইলে বলব।’ গাস্তন এদুলের এই টুইটে আর্জেন্টাইন র‌্যাপার দুকো জানতে চান লোকটা কে ছিলেন, ‘বলে ফেলুন বস।’ এদুল সেই টুইটেই উত্তর দেন, ‘প্রিয় দুকো, সেই বোকাটি ওদের ১৯ নম্বর জার্সি পরিহিত খেলোয়াড়।’ নেদারল্যান্ডস দলে ১৯ নম্বর জার্সি পরে কাল মাঠে নেমেছিলেন ভাউট ভোগহোর্স্ট।

ডাচ ফরোয়ার্ড ভোগহোর্স্ট
ছবি: রয়টার্স

মিক্সড জোনে পরে মেসি নিজেই ভোগহোর্স্টকে ধমক দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ক্লারিন এ বিষয়ে তাঁর উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, ‘১৯ নম্বর জার্সি পরা খেলোয়াড়টি মাঠে নামার পর থেকে আজেবাজে কথা বলেছে। আমি সব সময় সবাইকে সম্মান করি। ওরাও আমাকে সম্মান করে, সেটাও ভালো লাগে। মাঠের মুহূর্ত অনেক উত্তেজনাকর ছিল এবং তা মাঠেই রেখে এসেছি।’

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মেসি তখন বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। সাবেক সতীর্থ সের্হিও আগুয়েরোর হস্তক্ষেপে শান্ত হন মেসি।