২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘স্বেচ্ছাচারী’ কোচ ভিলদা স্পেনের নারী ফুটবলারদের ‘দরজা খুলে ঘুমাতে বাধ্য’ করতেন

স্পেন নারী দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েও বরখাস্ত হয়েছেন হোর্হে ভিলদাফিফা

স্পেনের নারী ফুটবলের জন্য ২০২৩ বছরটি ছিল মিশ্র। এ বছরই তাঁরা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছেন। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দের মধ্যেই পুরস্কার মঞ্চে ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ফরোয়ার্ড হেনি হেরমোসোকে তাঁর অনুমতি ছাড়াই চুমু দেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। এ ঘটনার পর ঝড় ওঠে স্পেনের ফুটবলে। সেই ঝড়ে ফুটবল ফেডারেশন থেকে সরে দাঁড়াতে জয় রুবিয়ালেসকে, চাকরি হারান নারী দলের প্রধান কোচ হোর্হে ভিলদা।

ভিলদার বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ ছিল স্পেনের ফুটবল দলের মেয়েদের। রুবিয়ালেসের সঙ্গে সেই সময় ভিলদার বরখাস্তের জন্যও সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন হেরমোসো-পুতিয়ালেসরা। এ ঘটনার রেশ যেন এখনো কাটেনি। নতুন করে হেরমোসো অভিযোগ করেছেন ভিলদার বিরুদ্ধে। তিনি নাকি আন্তর্জাতিক ফুটবল চলাকালে মেয়েদের রাতে দরজা খুলে ঘুমাতে বাধ্য করতেন! আরেকজনের অভিযোগ, ভিলদা তাঁদের সঙ্গে এমন আচরণ করতেন, যেন তাঁরা শিশু। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নারী ফুটবলার ভিলদাকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ বলেও উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন
নারী বিশ্বকাপের বিজয়মঞ্চে হেরমোসোর ঠোঁটে চুমু দেন রুবিয়ালেস
টুইটার

হেরমোসো সম্প্রতি বলেছেন, ‘(আন্তর্জাতিক খেলার জন্য জাতীয় দলে থাকার সময়) আমরা যখন ঘুমাতে যেতাম, আমাদের দরজা খুলে রাখতে হতো। রাতে আমাদের তাঁর (ভিলদা) জন্য অপেক্ষা করতে হতো এবং তাঁকে আমাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতে হতো।’ কেন এমনটা করতে হতো, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হেরমোসো বলেছেন, ‘তিনি বলতেন, আমাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার এটাই তাঁর সময়। প্রথম খেলোয়াড়ের দরজা থেকে তিনি শেষজন পর্যন্ত কড়া নাড়তেন। এর মধ্যে হয়তো কেউ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ত।’

সাংবাদিক দানায়ে বোরোনাত তাঁর ‘তাদের নারী বলো না, ফুটবলার বলো’ বইতে ভিলদাকে নিয়ে এক নারী ফুটবলারের মন্তব্য লিখেছেন। সেখানে ওই খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ না করে তিনি তাঁর মন্তব্য এভাবে তুলে ধরেছেন, ‘তিনি আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করতেন, যেন আমরা শিশু। যদিও আমাদের অনেকেই প্রায় তাঁর সমবয়সী ছিলাম। এটা খুব জটিল ছিল। কারণ, তিনি খুব স্বেচ্ছাচারী ছিলেন। তিনি আমাদের কক্ষের সামনে দিয়ে ঘুরে যেতেন, দেখতেন রাত ১১টার সময় আমরা সেখানে আছি কি না।’

আরও পড়ুন