যোগ করা সময়ে ইউনাইটেডকে আটকে দিল ব্রেন্টফোর্ড
ব্রেন্টফোর্ড ১:১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
নাটক এবং তারপর মহানাটক!
নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিট পর্যন্তও ম্যাচে গোলশূন্য ব্যবধানে সমতা। পরের মিনিটেই কাসেমিরোর পাস থেকে বদলি নামা ম্যাসন মাউন্টের গোল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ বুঝি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন! দল ১-০ গোলে এগিয়ে, মহামূল্য ৩ পয়েন্ট তুলে নিতে আর দুই-এক মিনিটের অপেক্ষা।
কিন্তু কী অবিশ্বাস্য! তিন মিনিট পরই অর্থাৎ যোগ করা সময়ের ৯ মিনিটে জিটেক স্টেডিয়ামে তুমুল হর্ষধনি! আইভান টনির কাটব্যাক থেকে সমতাসূচক গোল করেছেন ব্রেন্টফোর্ডের নরওয়েজিয়ান সেন্টারব্যাক ক্রিস্টোফার আয়ের। ম্যাচে ১-১ গোলে সমতা এবং এই স্কোরলাইনেই বেজেছে শেষ বাঁশি।
পয়েন্ট ভাগাভাগিতে বাধ্য হওয়ায় ইউনাইটেডের এখন চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে খেলা নিয়েই টানাটানি। ২৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে টেন হাগের দল। পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে ১১ পয়েন্ট ব্যবধান ইউনাইটেডের। পঞ্চম টটেনহামের সঙ্গে ব্যবধান ৮ পয়েন্টের। ৩০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম ব্রেন্টফোর্ড।
চারবার ইউনাইটেডের পোস্টে বল মারা ব্রেন্টফোর্ড প্রাপ্য গোলই পেয়েছে। প্রতিপক্ষের মাঠে কোনো অর্ধেই ভালো খেলতে পারেনি টেন হাগের দল। একটি পরিসংখ্যানেই তা বোঝানো যায়। গোটা ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের বক্সে মাত্র ১৬বার বল টাচ করতে পেরেছেন ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা, যেখানে স্বাগতিকদের আইভান টনি একাই টাচ করেছেন ১৫বার। ইউনাইটেডের বক্সে ৮৫বার বল টাচ করেছে ব্রেন্টফোর্ড, যা এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ।
প্রথমার্ধে ইউনাইটেডের পোস্টে বল মেরেছেন ব্রেন্টফোর্ডের টনি ও ম্যাথিয়াস ইয়ুর্গেনসন। বিরতির পর একটু আক্রমণাত্বক হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আলেহান্দ্রো গারনাচো-ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। রাসমুস হয়লুন্দের দারুণ একটি শট রুখে দেন ব্রেন্টফোর্ডের গোলকিপার মার্ক ফ্লেকেন। দ্বিতীয়ার্ধে অফসাইডের কারণে টনির একটি গোল বাতিল হয়। ইউনাইটেডের বারে বল মারেন স্বাগতিকদের উইঙ্গার ব্রায়ান এমবিউমো। ইউনাইটেড গোলকিপার আন্দ্রে ওনানার আসলে ব্যস্ত সময়ই কেটেছে। চারটি ভালো সেভও করেছেন ওনানা।
ম্যাচ শেষে ইউনাইটেড তারকা মাউন্ট হতাশাই করলেন, ‘১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ফলটা ধরে রাখার চেষ্টা করে সবাই। ম্যাচে আমরা নিজেদের মান অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আমরা সেটা জানি। শেষ দিকে গোল করলে জয়ের আশাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা সম্ভবত সেটার যোগ্য নই।’