সানের মুখে মানের ঘুষি
ম্যানচেস্টার সিটির কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার তেতো স্বাদেই কি মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল দুজনের? সাদিও মানের বোধহয় একটু বেশিই বিগড়ে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যম ‘স্কাই জার্মানি’ জানিয়েছে, মানের ঘুষিতে লেরয় সানের ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরছিল। মাঠে বাদানুবাদের পর ড্রেসিংরুমেও লেগে গিয়েছিল দুই বায়ার্ন মিউনিখ সতীর্থের। পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে অন্যান্য সতীর্থদের হস্তক্ষেপে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে পরশু কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে ৩–০ গোলে হেরেছে বায়ার্ন। স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, এ ম্যাচের শেষ দিকে মাঠেই মানে ও সানের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। মিউনিখে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ফিরেছেন মানে। আর সানে উঠেছেন টিম বাসে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ‘বিল্ড’ এর বরাত দিয়ে গোল ডট কম জানিয়েছে, মাঠে মানের সঙ্গে কথা বলার সময় সানে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তাতে মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল সেনেগালিজ তারকার। আর তাই ড্রেসিংরুমে ফেরার পর এক কথায়, দুই কথায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুজন। সতীর্থদের হস্তক্ষেপে আলাদা হন দুজন।
লিভারপুল থেকে গত বছর বায়ার্নে যোগ দেন সাদিও মানে। সেনেগালিজ এই ফরোয়ার্ডের দুই বছর আগে বায়ার্নে যোগ দিয়েছেন জার্মান উইঙ্গার লেরয় সানে। তার আগে পাঁচ বছর ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেও গোল করতে পারেনি বায়ার্ন।
অথচ সিটি মাত্র ৪৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ৩ গোল করেছে। আর সিটির গোলপোস্টেও মাত্র চারটি শট নিতে পেরেছে বায়ার্ন। এর মধ্যে তিনটি শটই সানের। ৮০ মিনিটে সিটির দ্বিতীয় গোলের এক মিনিট আগে বদলি হয়ে মাঠে নামেন মানে।
দুই তারকার মনোমালিন্য নিয়ে বায়ার্নের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।